মা গুলতেকিনের দ্বিতীয় বিয়ে নিয়ে যা বললেন নুহাশ
নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের ৭১তম জন্মদিন ছিল গতকাল বুধবার। নানা আয়োজনে রাজধানী, গাজীপুর, নেত্রকোনা ও ময়মনসিংহের গৌরীপুরে উদযাপন করা হয় দিনটি।
প্রয়াত এই কথাসাহিত্যিকের জন্মদিনে তার সাবেক স্ত্রী গুলতেকিন খানের বিয়ের খবর ভাইরাল হয়েছে।
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কবি আফতাব আহমেদকে বিয়ে করেছেন গুলতেকিন। সন্তানদের আকড়ে নিরবে নিভৃতে এতোগুলো বছর জীবন কাটিয়ে অবশেষে জীবনসঙ্গীকে বেছে নিলেন গুলতেকিন।
তার এমন সিদ্ধান্তে সবাই এই নবদম্পতিকে অভিনন্দন ও শুভকামনা জানিয়েছেন। নতুন জীবন শুরু করায় প্রিয়জন ও শুভাকাঙ্খীদের শুভেচ্ছায় ভাসছেন গুলতেকিন।
তবে অনেকের মনেই কৌতুহল জেগেছে, মায়ের দ্বিতীয় বিয়ে নিয়ে হুমায়ূন-গুলতেকিন দম্পতির সন্তানদের ভাষ্য কি?
মায়ের এই দ্বিতীয় বিয়েকে কি স্বাভাবিকভাবেই নিয়েছেন শিলা-নুহাশরা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সন্তানদের সম্মতি নিয়েই এ বিয়ে করেছেন গুলতেকিন। সন্তানদের ইচ্ছা ও পূর্ণ সমর্থন নিয়েই নতুন জীবনে পা দিয়েছেন তিনি।
এ বিষয়ে একটি গণমাধ্যমে হুমায়ূন আহমেদ ও গুলতেকিন খানের বড় ছেলে নুহাশ বলেছেন, ‘মায়ের এমন সিদ্ধান্তে আমরা অনেক খুশি হয়েছি। আমাদের মধ্যে এ নিয়ে কোনো দুঃখবোধ নেই। বলতে গেলে মায়ের এমন সিদ্ধান্তে সবসময় তার পাশেই ছিলাম আমি। আমি নিজে থেকে মায়ের বিয়ে দিয়েছি। এখানে লুকানোর কিছু নেই। আমরা মনে করি এতে নারীদের জন্য নতুন একটা দ্বার উম্মোচন হলো।’
অনেকটা আপ্লুত কণ্ঠে নুহাশ বলেন, ‘মা শক্ত হাতে আমাদের বড় করেছেন। কখনো কোনো অভাব বুঝতে দেয়নি। পরিবারকে ভাঙতে দেননি মা। মা সবসময়ই আমাদের কাছে আইডল। ’
নুহাশ বলেন, ‘এই নব দম্পতির জন্য সবার কাছে দোয়া চাই। ইনশাআল্লাহ সামনে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানও হবে।’
হুমায়ূন আহমেদের জন্মদিনে গুলতেকিনের বিয়ের বিষয়টি ভাইরাল হলেও গত অক্টোবরের শেষের দিকে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কবি আফতাব আহমেদকে বিয়ে করেন তিনি।
তাদের বেশ কয়েকটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় আপাতত ভাইরাল। সেসব ছবিতে দেখা গেছে, ঘরোয়া পরিবেশে হাস্যজ্জ্বল গুলতেকিন ও আফতাব। পাশেই হেসে ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে নুহাশ।
প্রসঙ্গত, ১৯৭৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়নের তরুণ শিক্ষক হুমায়ূন আহমেদকে কিশোরী গুলতেকিন প্রেমে পড়ে বিয়ে করেছিলেন।
হুমায়ূন আহমেদ ২০০৩ সালে মেহের আফরোজ শাওনকে বিয়ের সিদ্ধান্ত নিলে ভালোবেসে পাতা হুমায়ূন-গুলতেকিন সংসারে বিচ্ছেদ ঘটে। ২০০৫ এ শাওনকে হুমায়ূন বিয়ে করলেও গুলতেকিন আর বিয়ে করেননি। একেবারে আড়ালে চলে যান তিনি।
সন্তানদের আকড়ে নিরবে নিভৃতে জীবন কাটিয়েছেন তিনি। হুমায়ূন আহমেদের মৃত্যুর ৭ বছর পর অবশেষে গত অক্টোবরের শেষের দিকে আফতাব আহমেদের বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন তিনি।
আফতাব আহমেদের সঙ্গে তার ব্যারিস্টার স্ত্রীর বিচ্ছেদ ঘটে ১০ বছর আগে। তাদের একমাত্র সন্তান লন্ডনে লেখাপড়া করছেন।