অস্ট্রেলিয়ায় দাবানলে হুমকির মুখে ২ রাজ্যে জরুরি অবস্থা
অস্ট্রেলিয়ায় চলমান দাবানলে ‘বিপর্যয়কারী’ হুমকির মুখে দুই রাজ্যে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দাবানলে গুরুতর ঝুঁকিতে রয়েছে দেশটির জনবহুল পূর্বাঞ্চল। নিউ সাউথ ওয়েলস (এনএসডব্লিউ) ও কুইন্সল্যান্ড অঙ্গরাজ্যে চলমান ভয়াবহ এই দুর্যোগে প্রাণ হারিয়েছেন তিন জন। বাস্তুচ্যুত হয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ। রাজ্য দুটির আবহাওয়া পরিস্থিতি দ্রুত আরো বিরূপ আকার ধারণ করছে। তবে সরকারি কর্মকর্তারা সতর্ক করেছেন, মঙ্গলবার দেশটির সবচেয়ে বড় শহর সিডনীর চার এলাকায় দেখা দিবে সবচেয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতির।
খবরে বলা হয়, বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ার দুই রাজ্যে ১২০টিরও বেশি দাবানল জ্বলছে। এনএসডব্লিউতে পুড়ে গেছে প্রায় ১০ লাখ হেক্টর জমি। ধ্বংস হয়ে গেছে দেড় শতাধিক বাড়ি।
এছাড়া, কুইন্সল্যান্ডে পুড়ে গেছে নয়টক বাড়ি। এনএসডব্লিউর প্রিমিয়ার গ্ল্যাডিস বেরেজিক্লিয়ান সোমবার রাজ্যবাসীর উদ্দেশে বলেন, যে যেখানেই থাকুন না কেন, সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। এসময়ে চিত্তপ্রসাদের দিকে নজর দেয়া যাবে না।
এনএসডব্লিউ কর্তৃপক্ষ রাজ্যজুড়ে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করেছে। বৃহত্তর সিডনী ও এর আশপাশের অঞ্চলগুলোতেও এই সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বিজ্ঞানীরা আশঙ্কা করছেন, মঙ্গলবার ওই অঞ্চলের তাপমাত্রা ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছবে। এমন পরিস্থিতিতে, আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়বে। ঝুঁকিতে থাকবে ওই অঞ্চলের বাসিন্দারা। এনএসডব্লিউর তুলনায় কুইন্সল্যান্ডে হুমকির মাত্রা তুলনামূলক কম। তবে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সপ্তাহের শেষের দিকে সেখানকার পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে। জরুরি অবস্থার আওতায়, পরবর্তী ঘোষণা না দেয়া পর্যন্ত দুই রাজ্যের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে।
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক বছরগুলোয় জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে তীব্র প্রাকৃতিক দুর্যোগের শিকার হচ্ছে অস্ট্রেলিয়া। দাবানল, তাপমাত্রা বৃদ্ধি ও তীব্র খরা দেখা দিচ্ছে প্রতি বছরই। চলতি মাসের শুরুর দিকেও এক দাবানলে পুড়ে যায় ২ হাজার হেক্টরের বেশি জমি। তাতে মারা যায় বহু প্রাণী। দেশটির রক্ষণশীল সরকার জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে যথাযথ পদক্ষেপ না নেয়ায় তীব্র সমালোচনার শিকার হয়েছে।