শীতে যেভাবে রাখবেন মোলায়েম ত্বক

0

শীতের আগমন মানেই রুক্ষ ত্বক। ফাটা ঠোঁট, মুষড়ে পড়া বিবর্ণ ত্বক থেকে শুরু করে নানা ধরণের সমস্যা। ঠান্ডার ভয়ে আমরা অনেক সময়েই গরম পানিতে স্নান করি। শুধু তাই নয়, অনেকেই এইসময়ে দেদারছে রোদ পোহান কিংবা ফায়ার প্লেসের সামনে বসে থাকতে ভালোবাসেন। কিন্তু এতেই যে ত্বকের কতটা ক্ষতি হতে পারে, তা বোধহয় অনেকেরই অজানা। তবে আপনার রোজকার ত্বক পরিচর্যার রুটিনে বেশ কিছু অভ্যেস যোগ করলেই আপনি পেতে পারেন জেল্লাদার ও মোলায়েম ত্বক।

বাইরে থেকে ত্বক পরিচর্যা করার আগে জরুরী ভিতর থেকে শরীরের যত্ন নেওয়া। শীতে শরীরে পানির চাহিদা বিশেষ থাকে না। তাই অনেকেই এইসময়ে পানি খাওয়া কমিয়ে দেন। তার ফলে ত্বক রুক্ষ হয়ে পড়ে। তাই, সবার প্রথমে বলব নিয়মিত বেশি করে জল পান করার অভ্যেস গড়ে তুলুন। দেখবেন ত্বকের রুক্ষ্মভাব কেটে গিয়ে অনেকটাই সতেজ মনে হচ্ছে।

অনেকেরই ঠান্ডায় ত্বক ফাটে। সেটা বন্ধ করতে যথাযথ পরিমাণ ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। এতে ত্বকে তৈলাক্তভাব বজায়ও থাকে এবং ত্বকের রুক্ষ্মভাবটাও কেটে যায়। নারকেল তেল, অলিভ অয়েল, বাটার মিল্ক কিংবা নিদেনপক্ষে দুধের সর খুব ভাল ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে।

ঠান্ডায় অসুবিধে হয় বলে অনেকেই গরম পানিতে স্নান করেন। কিন্তু জানেন কি, এতে ত্বকের দফা-রফা আরও বেশি করে হয়! তাই মুখ ধোওয়ার জন্য একেবারেই গরম পানি ব্যবহার করবেন না। আবার একেবারে হিমশীতল পানিতে মুখ ধোওয়ারও প্রয়োজন নেই। উষ্ণ পানিতে মুখ ধুতে পারেন। এরপর টোনার লাগিয়ে নাইটক্রিম ব্যবহার করুন।

এবার সবশেষে বলব, শীতকালের রাতে ত্বকের যত্ন নেওয়া অতি প্রয়োজন। আপনার ব্যস্ত শিডিউল থেকে মিনিট পাঁচেক সময় বের করে নিন। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে ক্লিনজার দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। তারপর, মুখে-ঘাড়ে টোনার লাগিয়ে ময়েশ্চারাইজার মেখে নিন। এই সময়ে ত্বক ৬-৭ ঘণ্টা বিশ্রাম পায়। স্কিন রিজুভেনেট করতে অনেকটাই সাহায্য করে।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com