আ.লীগ আমাদের মাতৃভূমি বাংলাদেশকে ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর গণধর্ষণ করেছে: নুর
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেছেন, আমাদের দুর্বলতার কারণেই ধর্ষকদের পৃষ্ঠপোষক দুর্নীতিবাজ এই সরকার এখনো ক্ষমতায় ঠিকে আছে। এখন আর সময় নেই দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। এখন ঐক্যবদ্ধ লড়াই প্রয়োজন এ রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য।
সোমবার (৫ অক্টোবর) রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে নোয়াখালীতে গৃহবধূসহ সারাদেশে ধর্ষণ-নিপীড়নের ঘটনার প্রতিবাদে আয়োজিত এক বিক্ষোভ মিছিলে তিনি এসব বলেন।
নুরুল হক নুর বলেন, ৩১ ডিসেম্বর নোয়াখালীতে চার সন্তানের জননী এক নারীকে ধর্ষণের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে। ধর্ষকরাই আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রেখেছে।
তিনি বলেন, আমাদের মাতৃভূমি বাংলাদেশকে ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর গণধর্ষণ করেছে। এই ধর্ষণের মাধ্যমে বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থা ভেঙে দিয়েছে। ৩০ ডিসেম্বরের ব্যালট ডাকাতির মাধ্যমে এ দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কবর দিয়েছে তারা।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার দীর্ঘদিন অগণতান্ত্রিকভাবে ক্ষমতায় থাকার ফলে প্র্যাকটিসের জায়গায় একটি দুর্বৃত্তায়নের শ্রেণি তৈরি হয়েছে। ছাত্রলীগ-যুবলীগ ধর্ষণ করে আর আওয়ামী লীগ টাকা পাচার করে। তাদের ১৪ বছরের অর্জন হচ্ছে এই।
সাবেক ডাকসু ভিপি বলেন, আজ স্বাধীনতার ৫০ বছরের দারপ্রান্তে। কিন্তু এখন পর্যন্ত গণতন্ত্রকে আমরা প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে পারিনি। প্রত্যেকটা দল ক্ষমতায় এসে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। প্রত্যেকেই ভিন্নমত দমন করার জন্য গুম-খুনের রাজনীতি করেছে।
তিনি বলেন, এই সরকারকে যদি হটাতে না পারি তাহলে এ দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব, মা-বোনদের ইজ্জত রক্ষা হবে না। মধ্যযুগে নারীদের প্রতি সহিংসতার কারণে আইয়্যামে জাহিলিয়াতের যুগ বলা হতো। বর্তমান বাংলাদেশে এখন আওয়ামী জাহিলিয়াতের যুগ চলছে। এই যুগে কারও মা-বোন, ভাই-বাবা কেউ নিরাপদ নয়।
বিক্ষোভ মিছিলে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক রাশেদ খান, যুগ্ম-আহ্বায়ক ফারুক হাসান, মশিউর রহমান, তারেক রহমান, যুব অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক মো. আতাউল্লাহ, সদস্য সচিব ফরিদুল হক, শ্রমিক অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক আব্দুর রহমান প্রমুখ।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়, কিন্তু ট্র্যাকব্যাক এবং পিংব্যাক খোলা.