সেপ্টেম্বরে ৩৪০ নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতনের শিকার
চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে কন্যাশিশু নির্যাতনের ঘটনা ১৭৩টি এবং কন্যাশিশুকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে ১২৯টি। মোট ৩৪০ জন নারী ও কন্যাশিশু সেপ্টেম্বর মাসে নির্যাতনের শিকার হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ। পরিষদের লিগ্যাল এইড উপ-পরিষদে সংরক্ষিত ১৩টি দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ অনুসারে ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে মোট ৩৪০ জন নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এদের মধ্যে ২০ জন গণধর্ষণসহ ১২৯ জন ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এদের মধ্যে ৭৩ জন শিশুসহ ১০৯ জন ধর্ষণের শিকার এবং ১০ জন শিশুসহ ২০ জন গণধর্ষণের শিকার।
এছাড়া ছয় শিশুসহ ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে নয় জন নারীকে। শ্লীলতাহানির শিকার হয়েছে চার জন, এর মধ্যে শিশু দুই জন। চার জন শিশুসহ যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছে সাত জন। এসিডদগ্ধের শিকার ছয় জন এবং এর মধ্যে শিশু দুই জন। অগ্নিদগ্ধের শিকার হয়েছে পাঁচ জন, এরমধ্যে শিশু একজন এবং অগ্নিদগ্ধের কারণে দুই নারীর মৃত্যু হয়েছে।
সেপ্টেম্বরে উত্ত্যক্তকরণের শিকার হয়েছে দুই জন নারী। অপহরণের ঘটনা ঘটেছে মোট ২০টি, যার মধ্যে শিশু ১৬ জন। এছাড়া অপহরণের চেষ্টা করা হয় একজনকে। নারী পাচার করা হয়েছে তিন জন। বিভিন্ন কারণে সাত শিশুসহ ৩৬ জনকে হত্যা করা হয়েছে।
এছাড়া দুই শিশুসহ তিন জনকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। যৌতুকের কারণে নির্যাতন করা হয়েছে ১৪ জনকে, এর মধ্যে যৌতুকের কারণে হত্যা করা হয়েছে পাঁচ জনকে। শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে সাত শিশুসহ ২৭ জন।
বিভিন্ন নির্যাতনের কারণে ১৪ শিশুসহ আত্মহত্যা করেছে ২০ জন এবং ছয় শিশুসহ ২৮ জনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। আর বাল্যবিবাহ সংক্রান্ত ঘটনা ঘটেছে ১৯টি এবং সাইবার ক্রাইম অপরাধের শিকার হয়েছেন চার নারী।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ জানায়, নারী ও শিশু নির্যাতন উদ্বেগজনকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর আগে দেশে গত আগস্ট মাসে ১০৪ জন নারী ও কন্যাশিশু ধর্ষণের ঘটনাসহ মোট ২৪৯ জন নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছিল। আর জুলাই মাসে ১০৭ জন নারী ও কন্যাশিশু ধর্ষণের ঘটনাসহ মোট ২৩৫ জন নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছিল।