ভুঁড়ি কমানোর ঘরোয়া কিছু উপায়

ভুঁড়ি সবার জন্যই দুশ্চিন্তার নাম। বাড়তি ভুঁড়ি কী করে দূর করা যায় সেই চিন্তায় গলদঘর্ম হচ্ছেন অনেকে। চলতে থাকে নানা প্রচেষ্টা। কেউ বাড়িতেই দু’বেলা শরীরচর্চা করতে লেগে যান, কেউ-বা ছোটেন জিমে। কেউ খাবারে লাগাম টেনেও কূল-কিনারা পান না। এদিকে বাড়তি ভুঁড়ির কারণে অস্বস্তি অনুভব করেন অনেকেই।

বাড়তি ভুঁড়ি মারাত্মক কোনো সমস্যা নয়। মূলত আপনার জীবনযাপনের ধরণই এর জন্য দায়ী। তাই জীবনযাপনে কিছু পরিবর্তন এনেই কিন্তু এই সমস্যা দূর করা যায়। আর সেজন্য খুব বেশি কষ্টও করতে হবে না আপনাকে। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক, ভুঁড়ি কমানোর ঘরোয়া কিছু সহজ উপায়-

সকালে উঠে প্রথমে কী খান? নিশ্চয়ই পানি পান করেন? ভুঁড়ি কমাতে চাইলে সেই পানি উষ্ণ গরম করে তাতে লেবুর রস মিশিয়ে নিন। এবার পান করুন। এতে শরীরের সব টক্সিক পদার্থ বের হয়ে যাবে। সেজন্য আলাদা কষ্টও করতে হবে না আপনাকে। কিন্তু ভুঁড়ি কমবে।

রসুনের উপকারিতা সম্পর্কে নিশ্চয়ই জানা আছে? এটি কিন্তু আপনার ফ্যাট কমাতেও দারুণ কাজে দেবে। প্রতি সকালে লেবুপানি পানের আগে এক কোয়া কাঁচা রসুন চিবিয়ে খেয়ে নিন। এটি দ্রুত ফল দেবে।

রান্নায় ব্যবহারের জন্য বাড়িতে ধনেপাতা রাখেন অনেকেই। এই সাধারণ পাতাই দিতে পারে ভুঁড়ি থেকে মুক্তি। প্রতিদিন সকালে হালকা গরম পানিতে লেবুর রসের সঙ্গে মেশান কিছুটা ধনে পাতার রস। এতে ভুঁড়ি কমবে দ্রুত।

আদার গুণের কথা নতুন করে বলার কিছু নেই। এই আদা ভুঁড়ি কমাতেও কার্যকরী। হালকা গরম পানি নিয়ে তাতে আদা কুচি দিয়ে পান করতে পারেন। এটি সকালে পান করতে হবে এমন কোনো কথা নেই। যেকোনো সময়ই পান করতে পারেন। সম্ভব না হলে আদা কুচি চিবিয়ে খেয়ে নিন। আদা প্রাকৃতিকভাবে ফ্যাট কমায়।

খাবারের স্বাদ ও সুগন্ধ বাড়াতে ব্যবহার করা হয় জিরা। কিন্তু জিরার রয়েছে আরও অনেক উপকারিতা। এটি বাড়তি মেদ ছেটে ফেলতে যথেষ্ট কার্যকরী। এক চা চামচ আস্ত জিরা একগ্লাস পানিতে সারারাত ভিজিয়ে রেখে সকালে সেই পানিটুকু ছেঁকে নিন। অল্প অল্প করে তিনবারে তা পান করুন সারাদিনে। এটি ভুঁড়ি কমাতে দারুণ উপকারী।

চিকিৎসকেরা বারবার একটি বিষয়ে জোর দেন তা হলো, রাতের খাবার আগেভাগে সেরে ফেলা। এরপর বিছানায় চলে যাবেন না। হাঁটাহাঁটি করুন, ঘরের টুকিটাকি কাজ সারুন। এতে খাবার সহজেই হজম হবে। খাবার ঠিকভাবে হজম না কিন্তু হলে শরীরে মেদ জমতে শুরু করে।

নিয়মিত শরীরচর্চার অভ্যাস ধরে রাখতে হবে। এতে যে শুধু ভুঁড়ি কমবে তা-ই নয়, পাশাপাশি সচল থাকবে শরীরের প্রায় সবগুলো অঙ্গ। সুস্থতার পথে আপনি থাকবেন একধাপ এগিয়ে।

Comments (০)
Add Comment