মেয়ে পুলিশ হয়েও আরেক পুলিশের হাতে ধর্ষিত, বিচার চেয়ে মুক্তিযোদ্ধা বাবার আর্তনাদ
জীবন বাজি রেখে একাত্তরে দেশ স্বাধীন করেছেন। অথচ জীবনের শেষ বেলায় সন্তান হত্যার বিচার চেয়ে হাইকোর্টের বারান্দায় ঘুরছেন মুক্তিযোদ্ধা হেলাল উদ্দিন। মেয়ে হালিমা পুলিশ সদস্য হয়েও ধর্ষণের শিকার হন, আরেক পুলিশের কাছে। পরে আত্মহত্যা করেন হালিমা। এ ঘটনায় ধর্ষণ ও আত্মহত্যার প্ররোচনায় মামলায় খালাস পান, আসামি মিজানুল ইসলাম। হেলাল উদ্দিনের বিশ্বাস, উচ্চ আদালতে ন্যায়বিচার পাবেন।
মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন। বয়স ৭৫ বছর। জীবন সায়াহ্নে এসে যখন নাতি নাতনি নিয়ে জীবন কাটানোর কথা তখন প্রথমবারের মত হাইকোর্টে এসেছেন তিনি। উদ্দ্যেশ্যে নিজের মেয়ের ধর্ষনের পর হত্যার বিচার চাওয়া।
গতকাল বৃহস্পতিবার কথা হলো তার সাথে। জানালেন, তার মেয়ে হালিমা বেগম চাকরি করতেন ময়মনসিংহের গৌরিপুর থানায়। পেশায় পুলিশ মেয়েটি একদিন ধর্ষনের স্বীকার হন একই থানার এস আই মিজানুল ইসলামের দ্বারা। ক্ষোভ অভিমানে একদিন নিজের গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যা করেন। এরপর তার বাবা থানায় মামলা দিলেও নেয়নি থানা। শেষ পর্যন্ত নিজের ডায়েরীতে হত্যার কারন লিখে যান হালিমা। কিন্তু চলতি বছর সাক্ষ্য প্রমাণের অভাবে খালাস পেয়ে যায় একমাত্র আসামী।
গতকাল বৃহস্পতিবার এ মামলায় আসামীর আত্মসমর্পন চেয়ে আপিল করে মুক্তিযোদ্ধা হেলাল উদ্দিন। সেই সাথে খালাসের বিরুদ্ধে আপিলও করা হয়।
মুক্তিযোদ্ধা হেলাল উদ্দিন বিশ্বাস উচ্চ আদালত তার মেয়ের হত্যায় ন্যায় বিচার নিশ্চিত করবে। আগামী সপ্তাহে এ মামলাটির শুনানি হবে হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চে।