পুলিশি নির্যাতনে কিডনি নষ্ট ভুক্তভোগীর অবস্থা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট
যশোরে পুলিশের নির্যাতনে ইমরান হোসেন (২৩) নামে এক কলেজছাত্রের দুটি কিডনি নষ্ট হওয়ার ঘটনায় তার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে সেখানকার সিভিল সার্জন ও ঘটনার তদন্তের বিষয়ে পুলিশ সুপারের (এসপি) কাছে রিপোর্ট তলব করেছেন হাইকোর্ট। আগামী ২৮শে জুনের মধ্যে যশোরের সিভিল সার্জনকে ভুক্তভোগীর সর্বশেষ শারীরিক অবস্থার তথ্যসহ একটি প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এছাড়া, এই ঘটনা তদন্তে পুলিশের গঠিত তিন সদস্যবিশিষ্ট কমিটির কোনো রিপোর্ট দাখিল করা হয়ে থাকলে সেটাও ওইদিনের মধ্যেই দাখিল করতে এসপিকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আজ মঙ্গলবার হাইকোর্টের বিচারপতি জেবিএম হাসানের ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে আজ রিটের পক্ষে শুনানি করেন রিটকারী আইনজীবী ব্যারিস্টার মো. হুমায়ন কবির পল্লব। তাকে সহযোগিতা করেন আরেক রিটকারী আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ কাওছার। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্রনাথ বিশ্বাস।
সিভিল সার্জন ও এসপিকে সংশ্লিষ্ট কোর্টের রাষ্ট্রপক্ষের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলের মাধ্যমে ওই রিপোর্ট কোর্টে পাঠানোর নির্দেশনা দিয়েছেন আদালত।
পাশাপাশি ওইদিন মামলার পরবর্তী শুনানি ও আদেশের জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে।
এর আগে গত ১৮ই জুন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির পল্লব এবং ব্যারিস্টার মোহাম্মদ কাওছার এ রিট দায়ের করেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সচিব, যশোরের পুলিশ সুপার, যশোরের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশের মহাপরিদর্শক, যশোর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এবং যশোরের সিভিল সার্জনকে রিটে বিবাদী করা হয়।