জর্জ ফ্লয়েডের হত্যাকাণ্ডের দৃশ্য আমার হৃদয় ভেঙে দিয়েছে: ওবামা

0

মার্কিন শ্বেতাঙ্গ পুলিশের হাতে কৃষ্ণাঙ্গ যুবক জর্জ ফ্লয়েড নির্মমভাবে খুন হওয়ার ঘটনায় মুখ খুলেছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। শুক্রবার এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, “পুলিশের হাতে জর্জ ফ্লয়েডের নির্মম হত্যাকাণ্ড ২০২০ সালের আমেরিকায় ‘স্বাভাবিক’ বিষয় হতে পারে না। আমি ভিডিও দেখেছি। ওই দৃশ্য আমার হৃদয় ভেঙে দিয়েছে। আমাদের মনে রাখতে হবে, এখনো লাখ লাখ মানুষকে বর্ণের কারণে নিগৃহিত হতে হয়। আমেরিকাকে অবশ্যই ভালো হতে হবে।”

৪৬ বছর বয়স্ক জর্জ ফ্লয়েডকে ২৫ মে সন্ধ্যায় প্রতারণার অভিযোগে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারের কিছুক্ষণ পর একজন পুলিশ অফিসার হাঁটু দিয়ে তাঁর গলা চেপে ধরলে কিছুক্ষণের মধ্যে তিনি মারা যান। সে সময় ফ্লয়েড বলতে থাকেন, প্লিজ, আমি শ্বাস নিতে পারছি না, আমাকে মারবেন না। এক পথচারী সে সময় ফ্লয়েডকে ছেড়ে দিতে পুলিশকে অনুরোধ করেন। পরে অ্যাম্বুলেন্সে করে ফ্লয়েডকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ নিয়ে গোটা আমেরিকায় যখন ব্যাপক বিক্ষোভ চলছে তখন এক বিবৃতিতে আমেরিকার ইতিহাসে একমাত্র কৃষ্ণাঙ্গ বারাক ওবামা বলেছেন, করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে মহামারির মধ্যে মানুষজন স্বাভাবিক পরিস্থিতির জন্য উদগ্রীব হয়ে আছে। বিভিন্নভাবে মর্মান্তিক, কষ্টকর এবং মানসিক যন্ত্রণা পোহানোর জেরে মার্কিনিরা উৎসুক হয়ে আছে স্বাভাবিক জীবনে ফেরার।  তখন এই মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ড ঘটল।

বিক্ষোভকারীদের দাবি, পুলিশ এভাবে কারো সঙ্গে নির্মম আচরণ করতে পারে না। সেই সঙ্গে আমেরিকায় বসবাসরত সকল কৃষ্ণাঙ্গের ওপর এ ধরনের নিপীড়ন বন্ধ করতে হবে।

জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুতে আমেরিকায় সংখ্যালঘু বর্ণ সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে পুলিশের নৃশংসতা আবার সামনে এসেছে। দেশটিতে পুলিশের গুলিতে ২০১৯ সালে মারা গেছে এক হাজারের বেশি মানুষ। বিভিন্ন জরিপে দেখা গেছে, পুলিশের গুলিতে নিহতদের মধ্যে তুলনামূলকভাবে বেশিরভাগই কৃষ্ণাঙ্গ। ম্যাপিং পুলিশ ভায়োলেন্স নামে একটি বেসরকারি সংস্থার চালানো জরিপে দাবি করা হয়েছে যে, আমেরিকায় পুলিশের গুলিতে শ্বেতাঙ্গদের তুলনায় তিনগুণ বেশি মারা যায় কৃষ্ণাঙ্গরা।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com