করোনা বিশ্বে প্রথম হেলথ পাসপোর্ট
করোনাভাইরাসকবলিত বিশ্বে প্রথম দেশ হিসেবে ভাইরাস থেকে সেরে ওঠা নাগরিকদের হেলথ পাসপোর্ট দিতে যাচ্ছে ব্রিটেন।
কাজে ফিরতে বা বাইরে বের হতে ব্রিটিশ শ্রমিক ও কর্মজীবীদের হেলথ পাসপোর্ট নিতে হবে। এজন্য নাগরিকদের জমা দিতে হবে ফেসিয়াল রিকগনিশন ও বায়োমেট্রিক্স সব তথ্য-উপাত্ত।
শুধু পাসপোর্টধারীরাই অফিস কিংবা ভ্রমণ করতে পারবেন। এ ব্যাপারে প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর সঙ্গে ইতোমধ্যে আলোচনা শুরু করেছে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের সরকার।
করোনা বা অ্যান্টিবডি (রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা) পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরই ডিজিটাল এই পাসপোর্ট দেয়া হবে। এজন্য এটাকে ‘ইমিউনিটি পাসপোর্ট’ও বলা হচ্ছে।
শুধু ব্রিটেনই নয়, জনগণকে পাসপোর্ট দেয়ার চিন্তাভাবনা করছে যুক্তরাষ্ট্রসহ আরও কয়েকটি দেশ। ব্রিটেনে এসব তথ্য-উপাত্ত জমা থাকবে জাতীয় স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে।
আর যুক্তরাষ্ট্রে স্থানীয়, রাজ্য ও কেন্দ্রীয়-সরকারের সব পর্যায়েই সংরক্ষিত থাকবে এই তথ্য। নাগরিকদের কাজে ফিরতে বিশেষ অনুমতি দেয়ার চেষ্টার বিষয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
দ্য গার্ডিয়ান। করোনাভাইরাসে বিপর্যস্ত পুরো বিশ্বই। লকডাউনের কারণে স্থবির অর্থনীতি। অর্থনীতিকে চাঙা করতে অনেক দেশই বিশেষ ব্যবস্থায় লকডাউন সীমিত করে অর্থনীতি বাঁচানোর চেষ্টা করছে।
এজন্য বিভিন্ন দেশের পক্ষ ‘হেলথ পাসপোর্ট’র প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। প্রথম দেশ হিসেবে ব্রিটেন এ ব্যাপারে বিশদ পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। প্রযুক্তি কোম্পানির সঙ্গে প্রাথমিক আলোচনা চূড়ান্ত করেছে বরিসের সরকার।
লকডাউন শিথিল করে দ্রুত ব্রিটেনকে কাজে ফেরাতে চান বরিস : যত তাড়াতাড়ি সম্ভব লকডাউন শিথিল করে ব্রিটেনকে কাজে ফেরাতে চান প্রধানমন্ত্রী বরিস।
লকডাউন তুলে নেয়ার ব্যাপারে রোববার একটি কৌশলপত্রও প্রকাশ করেছে তার সরকার। তাতে বলা হয়েছে, দুই মিটার দূরত্ব বিধি মেনেই কাজে ফিরতে হবে ব্রিটিশ কর্মজীবীদের। তবে কোম্পানিগুলো সবসময় এই নীতি মেনে চলতে বাধ্য থাকবে না এবং এটা সম্ভবও নয়। বলা হয়েছে, অফিস-আদালত ও কলকারখানায় যদি কর্মচারী সুরক্ষার বিষয়টি কঠোরভাবে বজায় রাখা হয় এবং করোনা টেস্টিং ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা হয়, তাহলে কিছুটা ছাড় দেয়া হবে।