রোজার সাওয়াব স্থির হতে ইফতারে যে দোয়া পড়বেন
সারাদিন রোজা পালনের পর ইফতারের সময় খেজুর ও পানি দ্বারা রোজা খোলায় রয়েছে তাৎক্ষণিক উপকার, যা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সুস্পষ্ট ভাষায় ঘোষণা করেছেন। হাদিসে এসেছে-
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন ইফতার করতেন তখন বলতেন। আর তাহলো-
ذَهَبَ الظَّمَاءُ وَابْتَلَتِ الْعُرُوْقُ وَ ثَبَتَ الْأَجْرُ اِنْ شَاءَ اللهُ
উচ্চারণ : ‘জাহাবাজ জামাউ; ওয়াবতালাতিল উ’রুকু; ওয়া ছাবাতাল আঝরূ ইনশাআল্লাহ।’
অর্থ : ‘পিপাসা দূর হলো, শিরা-উপসিরা সিক্ত হলো এবং যদি আল্লাহ চান সাওয়াবও স্থির হলো। (আবু দাউদ, মিশকাত)
এ হাদিসে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইফতারের উপকারিতা বর্ণনা করে বলেন, রোজায় মানুষের ক্ষুধা ও পিপাসার কারণে গোটা শরীরে যে শুষ্ক ও তপ্ত হয়ে পানিশূন্য হয়ে পড়ে। পানি পানের সঙ্গে সঙ্গে তা দূরীভূত হয়ে যায়। ক্লান্তি ও অবসাদ ঘুচে নিমিষেই সতেজ ও চাঙ্গা হয়ে ওঠে রোজাদার।
সারাদিন রোজা পালন শেষে রোজাদার ইফতার করেন। খেজুর এবং পানি দ্বারা ইফতারে রয়েছে অনেক উপকারিতা। খেজুর সংগ্রহ করতে না পারলে ন্যূনতম পানি দ্বারা ইফতার করা।
আল্লাহ তাআলা প্রত্যেক রোজাদারকে ইফতার করে হাদিসে বর্ণিত উপকার লাভের তাওফিক দান করুন। আমিন।