রোজা ৩০ দিন ফরজ হওয়ার রহস্য
আল্লাহ তাআলা পৃথিবীর প্রথম নবি হতে শুরু করে শেষ নবি পর্যন্ত রোজার নির্দেশ দিয়েছেন। প্রত্যেক নবি-রাসুলের শরিয়তেই রোজা ফরজ ছিল। কিন্তু রমজানের রোজা ৩০ দিন ফরজ হওয়ার পেছনে রহস্য কী? বিভিন্ন বর্ণনায় এসেছে হজরত আদম আলাইহিস সালামের সাথে এ রমজানের রোজা ফরজ হওয়ার সম্পর্ক রয়েছে। যা তুলে ধরা হলো-
>> মানুষ যখন কোনো খাদ্য খায়, তখন তার উপকরণ ৩০ দিন পর্যন্ত পেটে থাকে। হজরত আদম আলাইহিস সালাম ও হজরত হাওয়া আলাইহিস সালাম বেহেশতে যে গন্ধম খেয়েছিলেন, তার উপকরণ ৩০ দিন পর্যন্ত পেটে ছিল। সে জন্য অপবিত্র খাদ্য থেকে পবিত্র করার জন্য ৩০ দিন রোজা ফরজ করেছেন। (মাজালিসুল আবরার)।
>> দুররাতুন নাসেহিনে এসেছে, ‘রোজা ৩০ দিন ফরজ হওয়ার তাত্পর্য হলো- হজরত আদম আলাইহিস সালাম জান্নাতের গাছের ফল খাওয়ার পর তা ৩০ দিন পেটে ছিল। যখন তিনি খাঁটি তওবা করলেন, তখন আল্লাহ তাআলা তাঁকে ৩০ দিন রোজা রাখার হুকুম দিয়েছিলেন। তাই তার অপরাধ ও দেহ থেকে খাদ্যের উপকরণ দূর করার জন্য ৩০ দিন রোজা ফরজ করেছেন।
আল্লাহ তাআলা প্রথম নবি হজরত আদম আলাইহিস সালামকে তাওবা কবুলের জন্য যে ৩০ দিন রোজা পালনের নির্দেশ দিয়েছিলেন, তা পালন আল্লাহ তাআলা তাঁকে মাফ করে দিয়েছিলেন। এটা উম্মতে মুসলিমার জন্য অনুকরণীয় আদর্শ ও মহা সুযোগ।
সুতরাং মুসলিম উম্মাহর একান্ত কর্তব্য হলো- রমজানের ৩০ রোজা পালনের মাধ্যমে গোনাহ থেকে মুক্তি লাভ করে জান্নাত লাভে স্বচেষ্ট থাকা। আল্লাহ তাআলা সবাইকে রমজানের সিয়াম-সাধনায় আত্ম-নিয়োগ করার তাওফিক দান করুন। আমিন।