যে ৪ দোয়া পড়তে পারেন এক মিনিটেই!
আল্লাহর ভয় অর্জনের মাধ্যমে গোনাহ থেকে ক্ষমা লাভের মাস রমজান। মুমিন মুসলমানের জন্য অনেক সাওয়াব ও পুরস্কার লাভের ফজিলতপূর্ণ তাসবিহ ও দোয়া তুলে ধরা হলো। যা এক মিনিটেই পড়া সম্ভব। এ দোয়া ও তাসবিহগুলো হলো-
– سُبْحَانَ اللهِ وَبِحَمْدِهِ سُبْحَانَ اللهِ الْعَظِيمِ
উচ্চারণ : ‘সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি সুবহানাল্লাহিল আজিম’। (বুখারি, মুসলিম)
– رَبِّ ابْنِ لِي عِندَكَ بَيْتًا فِي الْجَنَّةِ
উচ্চারণ : ‘রাব্বিবনি লি ইংদাকা বাইতান ফিল জান্নাহ’। (সুরা তাহরিম : আয়াত ১১)
– سُبْحَانَ اللَّهِ عَدَدَ خَلْقِهِ وَرِضَا نَفْسِهِ وَ زِنَةَ عَرْشِهِ وَ مِدَادَ كَلِمَاتِهِ
উচ্চারণ : ‘সুবহানাল্লাহি আদাদা খালক্বিহি ওয়া রিদা নাফসিহি ওয়া ঝিনাতা আরশিহি ওয়া মিদাদা কালিমাতিহি’ (মুসলিম)
– رَبَّنَا ظَلَمْنَا أَنفُسَنَا وَإِن لَّمْ تَغْفِرْ لَنَا وَتَرْحَمْنَا لَنَكُونَنَّ مِنَ الْخَاسِرِينَ
উচ্চারণ : ‘রাব্বানা জ্বালামনা আংফুসানা ওয়া ইল-লাম তাগফিরলানা ওয়া তারহামনা লানাকুনান্না মিনাল খাসিরিন’ (সুরা আরাফ : আয়াত ২৩)
এ দোয়া ও তাসবিহগুলোর ২টি কুরআন থেকে নেয়া আর ২টি হাদিস থেকে নেয়া। কুরআন হাদিসের পুরো বর্ণনা হলো-
– তাসবিহ
سُبْحَانَ اللهِ وَبِحَمْدِهِ سُبْحَانَ اللهِ الْعَظِيمِ
উচ্চারণ : ‘সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি সুবহানাল্লাহিল আজিম’। (বুখারি, মুসলিম)
হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, দু’টি কলেমা (বাণী) রয়েছে, যেগুলো দয়াময় আল্লাহ্র কাছে অতি প্রিয়, উচ্চারণে খুবই সহজ, (আমলের) পাল্লায় অত্যন্ত ভারী। (বাণী দু’টি হচ্ছে)- ‘সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি সুবহান্নাল্লাহিল আজিম’—আমরা আল্লাহ্ তা’আলার প্রশংসাসহ তাঁর পবিত্রতা ঘোষণা করছি, মহান আল্লাহ্ অতি পবিত্র।’ (বুখারি, মুসলিম)
– দোয়া
رَبِّ ابْنِ لِي عِندَكَ بَيْتًا فِي الْجَنَّةِ
‘রাব্বিবনি লি ইংদাকা বাইতান ফিল জান্নাহ’। (সুরা তাহরিম : আয়াত ১১)
ফেরাউনের স্ত্রী হজরত আছিয়া আল্লাহর কাছে তার কাছেই জান্নাত লাভের প্রার্থনা করেছিলেন। যা আল্লাহর অনেক পছন্দ হয়ে যায়। যা তিনি উম্মতে মুহাম্মাদির জন্য কুরআনে তুলে ধরেন। আর তাহলো- আল্লাহ তা’আলা মুমিনদের জন্য ফেরাউনের স্ত্রীর দৃষ্টান্ত বর্ণনা করেছেন। সে বলল- হে আমার পালনকর্তা! আপনার সন্নিকটে জান্নাতে আমার জন্য একটি গৃহনির্মাণ করুন, আমাকে ফেরাউন ও তার দুষ্কর্ম থেকে উদ্ধার করুন এবং আমাকে জালেম সম্প্রদায় থেকে মুক্তি দিন।’ (সুরা তাহরিম : আয়াত ১১)
– তাসবিহ
سُبْحَانَ اللَّهِ عَدَدَ خَلْقِهِ وَرِضَا نَفْسِهِ وَ زِنَةَ عَرْشِهِ وَ مِدَادَ كَلِمَاتِهِ
‘সুবহানাল্লাহি আদাদা খালক্বিহি ওয়া রিদা নাফসিহি ওয়া ঝিনাতা আরশিহি ওয়া মিদাদা কালিমাতিহি’ (মুসলিম)
হজরত জুওয়াইরিয়াহ রাদিয়াল্লাহু আনহা বর্ণনা করেন, ফজরের নামাজের সময় রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর কাছে আসলেন অথবা ফজরের নামাজের পর সকালে আসলেন। তারপর রাবী তার হুবহু হাদিস বর্ণনা করেন। কিন্তু তাতে পার্থক্য শুধু এই যে, তিনি বলেছেন, ‘সুবহানাল্লাহি আদাদা খল্কিহি সুবহানাল্লাহি রিদা নাফ্সিহি সুবহানাল্লাহি যিনাতা আরশিহি সুবহানাল্লাহি মিদাদা কালিমাতিহি’, অর্থাৎ- ‘আমি আল্লাহর প্রশংসার সাথে পবিত্রতা বর্ণনা করছি তাঁর অসংখ্য মাখলুকের পরিমাণ, তার সন্তুষ্টির সমান, তাঁর আরশের ওজন পরিমাণ এবং তাঁর কালিমাসমূহের সংখ্যার সমান।’ (মুসলিম)
– দোয়া
رَبَّنَا ظَلَمْنَا أَنفُسَنَا وَإِن لَّمْ تَغْفِرْ لَنَا وَتَرْحَمْنَا لَنَكُونَنَّ مِنَ الْخَاسِرِينَ
‘রাব্বানা জ্বালামনা আংফুসানা ওয়া ইল-লাম তাগফিরলানা ওয়া তারহামনা লানাকুনান্না মিনাল খাসিরিন’ (সুরা আরাফ : আয়াত ২৩)
হজরত আদম ও হাওয়া আলাইহিস সালাম জান্নাতে আল্লাহর নির্দেশ অমান্য করায় তারা উভয়ে আল্লাহর কাছে এভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করেন, ‘হে আমাদের পালনকর্তা! আমরা নিজেদের প্রতি জুলুম করেছি। যদি আপনি আমাদের ক্ষমা না করেন এবং আমাদের প্রতি অনুগ্রহ না করেন, তবে আমরা অবশ্যই অবশ্যই ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাব।’ (সুরা আরাফ : আয়াত ২৩)
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে রমজানসহ সব সময় অল্প সময়ের এ দোয়াগুলো পড়ে যথাযথ ফজিলত ও মর্যাদা লাভের তাওফিক দান করুন। আমিন।