ঈদের আগে এমপিওর অর্থ ছাড়ের দাবি
আসন্ন ঈদুল ফিতরের আগেই বিশেষ পদ্ধতিতে এমপিওর (মান্থলি পেমেন্ট অর্ডার) অর্থ ছাড়করণের দাবি জানিয়েছেন শিক্ষকরা। অন্যথা শিক্ষকদের ভোগান্তি চরম আকার ধারণ করবে।
সোমবার বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় সভাপতি ও এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ লিয়াজোঁ ফোরামের মুখপাত্র মো. নজরুল ইসলাম রনি এবং বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় মহাসচিব মো. মেজবাহুল ইসলাম প্রিন্স এক যৌথ বিবৃতিতে এ দাবি জানান।
বিবৃতিতে বলা হয়, আসন্ন ঈদুল ফিতরের আগেই প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত ২,৭৩০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিও বিশেষভাবে ছাড় করতে হবে। মাহে রমজান চলছে। করোনার প্রভাবে শিক্ষকরা গৃহবন্দি। তাদের ইনকামের সব রাস্তা বন্ধ। সামনে আসছে ঈদ উৎসব। চলমান অনলাইন পদ্ধতি অনুসরণ করা হলে বেশ সময় লাগবে। এতে শিক্ষক-কর্মচারীদের ভোগান্তি চরম আকার ধারণ করবে।
এতে উল্লেখ করা হয়, ২০১৮ সালে অনলাইনে ননএমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আবেদন নিয়ে দীর্ঘ যাচাই-বাছাই শেষে গত বছরের ২৩ অক্টোবর ২,৭৩০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করার কথা জানানো হয়। এরপর থেকে অর্থ ছাড়ের দীর্ঘ প্রতীক্ষার শুরু।
শিক্ষকরা বলছেন, ২,৭৩০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিও কোড দিতে কত দিন লাগে? তাহলে ডিজিটাল সিস্টেম কেন? আসন্ন ঈদুল ফিতরের আগেই ননএমপিও শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা দিতে হবে। করোনার প্রভাবে ননএমপিও শিক্ষক-কর্মচারীরা চরম আর্থিক কষ্টে দিন যাপন করছেন। এমপিওভুক্তির প্রাতিষ্ঠানিক কোড দেয়ার পর আবার জিও জারি এবং তার পর অনলাইনে আবেদন শুরু হলে কতদিন লাগবে তারও ঠিক নেই।
কোনো প্রকার ভোগান্তি ছাড়াই ঈদুল ফিতরের আগেই ঈদবোনাসসহ ননএমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিও ছাড়করণে শিক্ষামন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেন তারা।