১০ টাকা কেজির চাল পাচারের সময় আ. লীগ নেতা গ্রেপ্তার
গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার পদুমশহর ইউনিয়নে সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির (ওএমএস) ১০ টাকা কেজি দামের ৩০০ কেজি চাল পাচারের অভিযোগে সোমবার দুপুরে মজদার রহমান (৫২) নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার মজদার রহমান পদুমশহর ইউনিয়নের মৃত আজগর আলীর ছেলে। মজদার রহমান পদুমশহর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি।
সাঘাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার সকালে পদুমশহর ইউনিয়নের নয়াবন্দর বাজার থেকে ভ্যানযোগে ৫ বস্তা (প্রতি বস্তায় ৬০ কেজি চাল) চাল বোনারপাড়া বাজারে নিয়ে যাচ্ছিলেন এক ভ্যানচালক। পথে বিষয়টি স্থানীয় এক ব্যক্তির সন্দেহ হলে স্থানীয়রা ভ্যানটিকে আটক করে মোবাইলফোনে সাঘাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীরকে জানান।
খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিষয়টি সম্পর্কে খোঁজ নেন ইউএনও। এ সময় মজদার রহমানকে পদুমশহর ইউনিয়ন পরিষদে আসতে বললেও তিনি আসেননি। পরে সাঘাটা উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক স্বপন কুমার দে ও বোনারপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এনায়েত কবিরকে সাথে নিয়ে নয়াবন্দর বাজারে ওই ডিলারের গুদামে যান ইউএনও। সেখানে গিয়ে স্টক রেজিস্ট্রারের সাথে মজুদকৃত চালের পরিমাণ হিসেব করলে ২১০ কেজি চাল কম পাওয়া যায়। এ ঘটনায় মেসার্স রাকিব ট্রেডার্সের স্বত্ত্বাধিকারী মজদার রহমানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ ও উদ্ধারকৃত ৩০০ কেজি চাল জব্দ করা হয়।
সাঘাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর গতকাল বিকেলে বলেন, সরকারি চটের বস্তা বদল করে মুরগির ৫টি খাদ্যের বস্তায় ভরে ৩০০ কেজি চাল বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে পাচার করছিলেন মজদার রহমান। এ ঘটনায় উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক স্বপন কুমার দে বাদী হয়ে ডিলার মজদার রহমানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। তার ডিলারশীপ বাতিল করা হবে বলেও জানান ইউএনও।