মরদেহ নামিয়ে দিয়ে অ্যাম্বুলেন্সে ইয়াবা পাচার, আটক ৩
কক্সবাজারে মরদেহ নামিয়ে দিয়ে ফেরার পথে পরিবহন করা ২০ হাজার ইয়াবা ও অ্যাম্বুলেন্সসহ তিনজনকে আটক করেছে ডিবি পুলিশ। রোববার (৫ এপ্রিল) সন্ধ্যায় কক্সবাজারের লিংক রোড থেকে তাদের আটক করা হলেও তদন্ত ও জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ডিবি পুলিশ সোমবার (৬ এপ্রিল) বিকেলে বিষয়টি জানায়। এ ঘটনায় কক্সবাজার সদর থানায় মাদক আইনে মামলা করা হয়েছে।
আটকরা হলেন- কক্সবাজারের টেকনাফের হোয়াইক্যং উলুবনিয়া মধ্যমপাড়ার ইউসুফ আলীর ছেলে মো. আব্দুস শুক্কুর প্রকাশ সাইফুল (২৬), ভোলার তজুমুদ্দিন কোরালমারা ইউপির খাসেরহাট এলাকার মনতাজ মিয়ার ছেলে মো. সোহাগ (২৩) ও চট্টগ্রামের সাতকানিয়া পূর্ব নলুয়া ইউপির মরফলা গ্রামের মৃত মো. সফির ছেলে মো. ইলিয়াছ ওরফে ইমন (৩০)।
কক্সবাজার ডিবি পুলিশের ইন্সপেক্টর মানস বড়ুয়া জানান, চট্টগ্রামের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়া এক রোহিঙ্গার মরদেহ নিয়ে আঞ্জুমান অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস লেখা গাড়িটি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আসে রোববার বিকেলে। মরদেহটি ডেলিভারি দিয়ে ফেরার পথে কুতুপালং টিভি টাওয়ার এলাকা থেকে ২০ হাজার ইয়াবার চালান তোলেন চালক-হেলপাররা। খবর পেয়ে ডিবি পুলিশের একটি টিম কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের সংযোগ লিংক রোডের কুদরত মেম্বারের অফিসের সামনে অবস্থান নেয়।
অ্যাম্বুলেন্সটি সেখানে আসলে সেটি থামানোর পর তল্লাশি করে বিশেষ কায়দায় লুকিয়ে রাখা ২০ হাজার ইয়াবা জব্দ করা হয় এবং গাড়িতে থাকা তিনজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
তিনি আরও জানান, জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা জানান উখিয়ার কুতুপালং টিভি টাওয়ারের ৭ নম্বর ক্যাম্পের রুস্তম আলীর ছেলে কামাল ওরফে আক্তার কামাল (২৮), পালংখালী হাই স্কুলের পাশের বাসিন্দা আবুল বশর (৩২), থাইংখালীর ডিবি চেকপোস্ট এলাকার মো. মিজান (২৭) এবং কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মাহমুদুর রহমান দাছরা (৪০) তাদের এসব ইয়াবা সরবরাহ করেছেন। মামলায় এই চারজনকে পলাতক আসামি করা হয়েছে।
কক্সবাজার সদর থানা পুলিশের ওসি (অপারেশন) মাসুম খান জানান, এ ঘটনায় মাদক আইনে মামলা করে আটকদের কক্সবাজার সদর থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।