লালমনিরহাটে পুলিশের হামলায় নারী ইউপি সদস্যসহ আহত ৭
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় পুলিশের হামলায় নারী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যসহ ৭ জন গ্রামবাসী আহত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার (১ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ওই উপজেলার বড়খাতা ইউনিয়নের পশ্চিম সারডুবী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। হামলা শেষে পুলিশ ৫ জন গ্রামবাসীকে আটক করে থানায় নিয়ে আসলেও পরে মধ্য রাতে তাদের ছেড়ে দেয়।
বড়খাতা ইউনিয়নের ১,২ ও ৩ নং ওয়ার্ডের নারী সদস্য মাজেদা বেগম, স্থানীয় গ্রামবাসী মারুফা বেগম ও কলেজ ছাত্রী শারমিন বলেন, ওই এলাকায় সফিয়ার রহমান নামে এক ব্যক্তির সাথে জমির সীমানায় দেয়াল নির্মাণ নিয়ে মসজিদ কমিটির দ্বন্দ্ব চলছে। বৃহস্পতিবার বিকালে দোয়ানী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মাহফুজ রহমানসহ কয়েকজন পুলিশ ওই ঘটনা তদন্ত করতে গেলে স্থানীয় কয়েকজনের সাথে তাদের তর্ক হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সন্ধ্যায় হাতীবান্ধা থানা থেকে ৫০/৬০ জন পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে গ্রামবাসীর উপর হামলা চালায় এবং বাড়িঘর ভাঙচুর করে। এতে নারী সদস্য মাজেদা বেগমসহ ৭ জন গ্রামবাসী পুলিশের হামলায় আহত হয়েছে। এ সময় কয়েকজন গ্রাম বাসীকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার পর পরেই অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তাপস কুমার সরকার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
বড়খাতা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আবু হেনা মোস্তফা জামাল সোহেল বলেন, খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গেলে লোকজন অভিযোগ করেন, পুলিশ তাদের বাড়িঘর ভাংচুর করে তাদেরকে মারধর করেছে। এতে নারী ইউ-পি সদস্য মাজেদা বেগমসহ কয়েকজন আহত হয়েছে।
হাতীবান্ধা থানার ওসি (তদন্ত) নজীর হোসেন বলেন, জমির সীমানা দিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়েছে। পুলিশ হামলা করেনি বরং পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে মাত্র। গ্রামবাসীকে আটকের পর ছেড়ে দিলেন কেন ? এমন পশ্নে তিনি বলেন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সমঝোতায় তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।