দেশে করোনা রোগী আসলে ৩৫ হাজার? ড. আসিফ নজরুল
ড. আসিফ নজরুল
দেশে করোনা রোগী আসলে ৩৫ হাজার?
আইইডিসিআরের পরিচালক মীরজাদি সেব্রিনার দেওয়া তথ্যানুযায়ী ৩০ মার্চ পর্যন্ত ৯ লাখ ৫৫ হাজার ৪২৫ জন তাদের ফোন করেছেন। এরমধ্যে আইইডিসিআর নমুনা সংগ্রহ করেছে মাত্র ১,৩৩৮ জনের, তার মানে মাত্র ০.১৪ শতাংশের। এ ১৩৩৮ জনের মধ্যে নমুনা পরীক্ষায় করোনা আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে ৪৯ জন।
১৩৩৮ জনের মধ্যে করোনা রোগী ৪৯ জন।ঐকিক নিয়মে ফোনকারী সকলের (৯ লাখ ৫৫ হাজার ৪২৫ জন) টেস্ট করা হলে আক্রান্ত পাওয়া যেতো ৩৪ হাজার ৯ শত ৯০ জন। এ হিসেবে দেশে করোনা আক্রান্ত আছেন প্রায় ৩৫ হাজার মানুষ।
প্রশ্ন আসবে আইইডিসিআর তো লক্ষন শুনে বাকীদের টেষ্ট করেনি, তাহলে তাদের মধ্যেও এতো করোনা রোগী পাওয়া যাবে কেন? উত্তর হচ্ছে তারা যাদের টেস্ট করেনি, বা করতে চায়নি, তাদের মধ্যে করোনার লক্ষন নিয়ে মারা যাওয়া লোকের সংবাদ আমরা পাচ্ছি প্রায় প্রতিদিন। করোনায় যাদের মৃত্যুসংবাদ আমরা পাই তাদের মধ্যে বরং টেস্ট করা হযনি এমন মানুষের সংখ্যা আরো বেশী। সে বিবেচনায় স্বেচ্ছাচারভাবে যাদের টেস্ট করা থেকে বাদ দেয়া হয়েছে তাদের মধ্যে করোনা রোগীর হার কোনভাবে কম থাকার কথা না।
আরেকটা কথা। বাংলাদেশে সবার কি তাদেরকে ফোন করার মতো সুযোগ, সচেতনতা বা সাহস আছে? সবাই কি ফোন করে লাইনে ঢুকতে পেরেছে? এদের সংখ্যা যদি যারা ফোন করেছে ও কানেক্ট করতে পেরেছে তাদের সমানও হয় তাহলে করেনো রোগীর সংখ্যা হবে আরো দুগুন মানে ৭০ হাজার।
আপাতত যদি ৩৫ হাজারই ধারনা করি, তাহলেও তা ভয়ংকর শোনায় না? প্রশ্ন হচ্ছে আর কতো মানুষকে সংক্রমন করে যাচ্ছে এরা না জেনে কিছু?
এর দায় আসলে কার?
(আমার আশংকার ভিত্তি নিয়ে কোন সন্দেহ থাকলে প্লিজ আমাকে বলেন। যৌক্তিক হলে শুদ্ধ করে নিবো)