স্ত্রীকে নির্যাতন করায় যুবলীগ নেতা গ্রেফতার
ঘরের ভেতর স্ত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগে নারায়ণগঞ্জ যুবলীগের সংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক শাহ ফয়েজউল্লাহ ফয়েজকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে শহরের জামতাল এলাকা থেকে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
এর আগে বিকেলের দিকে থানা পুলিশ পুলিশের জরুরী পরিসেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন পেয়ে তার স্ত্রী আরোহী হাওলাদারকে ফয়েজউল্লাহ বাড়ি থেকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে। পরে তিনি তার স্বামী ওই আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে মারধর ও যৌতুকের অভিযোগ এনে মামলা করলে পুলিশ রাতেই অভিযান চালিয়ে ফয়েজউল্লাহ ফয়েজকে গ্রেফতার করেন।
গ্রেফতার শাহ ফয়েজউল্লাহ ফয়েজ শহরের জামতলা এলাকার শাজাহান মিয়ার ছেলে ও জেলা যুবলীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক এবং আততায়ীদের হাতে খুনের শিকার দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী নুরুল আমিন মাকসুদ ওরফে বরিশাইল্লা মাকসুদের শ্যালক। এছাড়াও তিনি সাংসদ শামীম ওসমান অনুসারি হিসেবে পরিচিত।
মামলা দায়ের ও গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শাহাদাত হোসেন। তিনি বলেন, আমরা ৯৯৯ নম্বরে ফোন পেয়ে আরোহী নামে এক নারীকে ফয়েজউল্লাহ ফয়েজের বাড়ি থেকে উদ্ধার করে নিয়ে আসি। তিনি দাবি করেছিলেন, তার স্বামী ফয়েজ তাকে আটকে রেখেছিলেন। পরে তিনি তার স্বামীর বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন ও যৌতুকের অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে।
আরোহী তার অভিযোগে উল্লেখ করেছেন, বিয়ের পর থেকেই ফয়েজউল্লাহ ফয়েজ যৌতুকের দাবিতে নানান সময়ে নির্যাতন চালাতেন। এরমধ্যে তাদের ঘরে একটি সন্তানও জন্ম নেয়। তারপরও যৌতুক দাবি করে আসছিলেন তিনি। পরবর্তীতে আট লাখ এনে ফয়েজের হাতে তুলে দেন তিনি। পরবর্তীতে আরও দুই লাখ টাকা দাবি করে পুনরায় নির্যাতন করতে থাকেন। এরমধ্যে সর্বশেষ ২৭ মার্চ টাকার দাবিতে তার উপর নির্যাতন চালান ফয়েজ। এমনকী তাকে ঘরে আটকে রাখেন। পরে তিনি ২৮ মার্চ ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে পুলিশের সাহায্য চাইলে পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে।
এদিকে গত কয়েকদিন ধরে ফয়েজউল্লাহ ফয়েজ তার অনুগামীদের নিয়ে জামতলা এলাকায় হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণ করছিলেন। সর্বশেষে তিনি গ্রেফতার হওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগেও হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণ করেন। অথচ স্ত্রীকে নির্যাতন করে ঘরে বন্দি করে রেখেছিলেন এই তিনিই। আর বাইরে এসে জনসেবা করছিলেন।