ইমাম নিয়োগ নিয়ে আ.লীগ নেতাকর্মীদের বাক বিতণ্ডার জেরে নিহত ১
পাবনা সদর উপজেলার মালিগাছা ইউনিয়নের ভজেন্দ্রপুর গ্রামে মসজিদের ইমাম নিয়োগকে কেন্দ্র করে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের বেধরক মারপিটে ইয়াছিন প্রামানিক (৫০) নামে এক ব্যক্তি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
এ ঘটনার সাথে জড়িত অভিযোগে পুলিশ ছাত্রলীগ নেতা নাসিম মন্ডলকে আটক করেছে।
স্থানীয়, প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, শুক্রবার জুম্মা নামাজের পর ভজেন্দ্রপুর মসজিদে ইমাম নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে মসজিদ কমিটিসহ মুসুল্লীদের এক বৈঠক বসে। ওই বৈঠকে আওয়ামীলীগ নেতা ইমান মন্ডলের সাথে রাজাই প্রামানিকের ছেলে ইয়াছিন প্রামানিকের বাকবিতান্ডা বেধে যায়। এরই এক পর্যায়ে ইমান মন্ডল মোবাইল ফোনে তার ছেলে ও নাতিদের খবর দেন।
খবর পেয়ে ছেলে নাসিম মন্ডল, সোহানুর রহমান সোহান মন্ডল, নাতি রাব্বি ও লিটন ঘটনাস্থলে গিয়ে ইয়াছিন প্রামানিককে এলোপাথারী ভাবে মারধর করে। এতে ইয়াছিন প্রামানিক গুরুত্বও ভাবে আহত হন। স্থানীয়রা তাকে প্রথমে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে তার অবস্থান অবনতি হওয়ায় বিকেলেই তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। রাজশাহী মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার দিবাগত রাত পোনে দুইটার দিকে তিনি মারা যান।
নিহত ইয়াছিন প্রামানিকের ছেলে কলেজ শিক্ষক শাহাদত হোসেন জানান, মসজিদ কমিটি ও স্থানীয় গ্রামবাসীর সম্মিলিত ভাবে মসজিদের ইমাম নিয়োগের পক্ষে অবস্থান নিলেও অনিয়ম ও অনৈতিক ভাবে ইমাম নিয়োগে চাপ দেন আওয়ামীলীগ নেতা ইমান মন্ডল। গ্রামবাসী তার কথা মেনে না নেওয়ায় তিনি ক্ষুদ্ধ হয়ে তার ছেলে ও নাতিদের মোবাইলে খবর দেন।
খবর পেয়ে ইমান মন্ডলের ছেলে মালিগাছা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি নাসিম মন্ডল, ছেলে জেলা যুবলীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য সোহানুর রহমান ওরফে সোহান মন্ডল, নাতি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক রাব্বি ও নাতি ছাত্রলীগ কর্মী লিটন ঘটনাস্থলে গিয়ে আমার ভাই ইয়াছিনকে বেদম মারপিট করে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় আমার ভাই মারা গেছে।
পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসিম আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনার মূল হোতা নাসিম মন্ডলকে আটক করা হয়েছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। মামলা রুজুর পর এ ঘটনার সাথে জড়িত অন্যান্যদের আইনের আওতায় আনা হবে।