আসুন জেনে নেওয়া যাক শাপলা দিয়ে ত্বকচর্চার কিছু উপকারিতা-

0

শাপলা দেখতে যেমন মনোমুগ্ধকর, তেমনি এটি ত্বকের যত্নেও কার্যকর একটি প্রাকৃতিক উপাদান। ঔষধি গুণে ভরপুর এই ফুলটি বর্তমানে বিভিন্ন সৌন্দর্য পণ্যে ব্যবহৃত হচ্ছে, কারণ এটি ত্বকের পুষ্টি ও উজ্জ্বলতা বাড়াতে সাহায্য করে।
শাপলার পাতা ও ফুল দুটোই ত্বকের যত্নে ব্যবহার করা যায়। এগুলো ত্বককে করে মসৃণ, কোমল ও প্রাকৃতিকভাবে উজ্জ্বল।

শুষ্ক ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করে

যাদের ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক বা রুক্ষ তাদের জন্য শাপলা এক অসাধারণ প্রাকৃতিক সমাধান। শাপলায় রয়েছে প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজিং ও কন্ডিশনিং উপাদান, যা ত্বকের গভীরে আর্দ্রতা ধরে রাখে। নিয়মিত শাপলার নির্যাস বা মাস্ক ব্যবহার করলে ত্বক নরম, মসৃণ। ফলে জ্বালা বা টানাভাবের সমস্যা দূর হয়।

১. ত্বককে উজ্জ্বল করে

ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে শাপলা হতে পারে প্রাকৃতিক সঙ্গী। শাপলায় থাকা লিনোলিক অ্যাসিড ত্বকের রং হালকা ও উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে। পাশাপাশি এর হাইড্রেটিং গুণ ত্বককে নরম ও কোমল রাখে। নিয়মিত শাপলার নির্যাস ব্যবহার করলে ত্বকে পাওয়া যাবে স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা ও সতেজতা।

২. ত্বকের টক্সিন দূর করে

শাপলা ত্বকের গভীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বা টক্সিন দূর করতে কার্যকর ভূমিকা রাখে। এটি ত্বকের জন্য এমন এক স্বাস্থ্যকর পরিবেশ তৈরি করে যেখানে এপিডার্মিসের কোষগুলো স্বাভাবিকভাবে বিকাশ লাভ করতে পারে। শাপলার নির্যাস ত্বকের পুনর্গঠনে সাহায্য করে এবং টক্সিন অপসারণের মাধ্যমে ব্রণ, র‍্যাশ বা নিস্তেজ ভাব দূর করে ত্বককে করে তোলে সতেজ।

৩. ত্বকের ফুসকুড়ি দূর করে

শাপলার অন্যতম গুণ হলো এর প্রশান্তিদায়ক ও প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্য। এটি ত্বকের ফুসকুড়ি, ক্ষত বা পোড়ার কারণে হওয়া জ্বালা কমাতে সাহায্য করে। পাশাপাশি ত্বকের ফোলাভাব দূর করে। ফলে ত্বক হয় কোমল ও ত্বকের স্বাভাবিক উজ্জ্বলতায় ফিরে আসে।

যেভাবে প্যাক বানাবেন

প্রথমে শাপলার ফুলের পাপড়িগুলো ভালো করে ধুয়ে নিন। তারপর পানিতে প্রায় ৪ মিনিট সেদ্ধ করে পেস্ট তৈরি করুন। এই পেস্টে টক দই ও মধু মিশিয়ে নিতে পারেন, এটি ত্বককে ময়েশ্চারাইজ ও উজ্জ্বল করতে সাহায্য করবে। চাইলে শুধু শাপলার পেস্টও ব্যবহার করতে পারেন।

এছাড়া শাপলার পেস্টের সঙ্গে সামান্য নিমের তেল ও তিল বাটা মিশিয়ে ব্যবহার করলে ব্রণ ও দাগের সমস্যা কমে যায়। তবে সেনসিটিভ ত্বক ছাড়া সবাই নিশ্চিন্তে এই প্যাক ব্যবহার করতে পারেন।

সতর্কতা
১. প্যাক তৈরির আগে অবশ্যই ফুলগুলো ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে। কখনোই সরাসরি ফুল েবা এর পেস্ট ত্বকে লাগানো উচিত নয়। টক দই, মধু বা তেলজাতীয় উপাদানের সঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করুন।

২. ফুলের তৈরি প্যাক সবসময় টাটকা অবস্থায় ব্যবহার করা উচিত। দীর্ঘ সময় রেখে দিলে এতে ব্যাকটেরিয়া জন্ম নিতে পারে, যা ত্বকের ক্ষতি করতে পারে বা জ্বালা সৃষ্টি করতে পারে।

সূত্র: স্কিনহাবস, দ্য দ্য স্প্রুস, হেলথলাইন

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.