আমলাদের ওপর সবচেয়ে বেশি জুলুম আমলারাই করে: জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান
অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে জনপ্রশাসনের কাঠামোগত পরিবর্তনের সুপারিশ করা হবে বলে জানিয়েছেন এ বিষয়ে গঠিত কমিশনের প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী। তিনি বলেছেন, আমরা বলি- কাক কাকের মাংস খায় না। আমলাদের ওপর সবচেয়ে বেশি জুলুম আমলারাই করে।
রোববার (১ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে বৈঠক শেষে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
তিনি বলেন, আমরা কাঠামোগত পরিবর্তনের জন্য সুপারিশ করবো। যেন এ ধরনের আবহাওয়ার সৃষ্টি না হয়। তারপরও থেকে যায়, যত চেষ্টা করি না কেন আমি, কিছু লোক থাকবে তারা চাইবে। সংবিধান সংস্কারের কথা বলা হচ্ছে, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের কথা বলা হচ্ছে। এগুলো খুব গুরুত্বপূর্ণ। তবে একদিনে পরিবর্তন আনা সম্ভব না। আমরা সুপারিশ দেবো।
কমিশনের সদস্য সচিব ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোখলেস উর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, বায়ান্ন বছরে এমন ২৩টি সংস্কার কমিশন হয়েছে। কতটুকু সুপারিশ নিয়েছে আমি আপনি আমরা ভালোই জানি। এবার আমরা বি প্রাকটিক্যাল, মানুষের কাছে গিয়ে যতটুকু গ্রহণযোগ্য সেটা দেওয়ার চেষ্টা করবো।
‘যারা মিস ইউজ অব পাওয়ার অ্যান্ড পজিশন তাদের কারণে আমরা অনেক পিছিয়ে ছিলাম এবং পিছিয়ে আছি। এ বিষয়গুলো চিহ্নিত করে এসব লোকজনকে আমরা মেইনস্ট্রিম থেকে সরিয়ে দেবো’- বলেন তিনি।
আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী আরও বলেন, আমরা এগোচ্ছি। আমরা তিনটি গ্রুপ করে আমাদের কাজটা ভাগ করেছি। ঢাকার বাইরে সাধারণ মানুষের বক্তব্য শোনার জন্য কিছু প্রোগ্রাম হাতে নিয়েছি। এটা অন্যরা করেনি, কারণ তাদের এটা দরকার নেই। আমরা যেহেতু জনপ্রশাসন নিয়ে কাজ করবো, তাই আমরা এটা করেছি।
তিনি বলেন, আমরা রাজশাহীতে গিয়েছিলাম। সেখানে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে আলোচনা করেছি এবং আলাদা করে গণশুনানি করেছি। আমাদের উদ্দেশ্য হলো জনসাধারণ কী চিন্তা করছেন, কী বলছেন সেটা শোনা। আমরা নাটোরে মিটিং করেছি।
কমিশনের প্রধান বলেন, আমরা একটা প্রশ্নমালা দিয়েছি, আপনারা দেখেছেন। আমরা আরও দুটি প্রশ্ন তৈরি করে দিচ্ছি। এটি আমরা দশ দিনের জন্য দিচ্ছি। সেখানে একটি প্রশ্ন থাকছে, আপনি সরকারি প্রতিষ্ঠানে কখনো গিয়েছেন কি না? গেলে আপনার অভিজ্ঞতাটা কী? যেন মানুষ আরও সুনির্দিষ্টভাবে বলতে পারে। আমরা একই সঙ্গে ছাত্রদের জন্য আলাদা একটি প্রশ্নমালা দিচ্ছি। এসব বিষয় নিয়ে আমাদের কাজ এগোচ্ছে।
তিনি বলেন, আমাদের কাজ ব্যাপক। সেজন্য আমাদের একটু সময় লাগছে। তিন মাস সময়ে এটা করা খুব কঠিন। তবু আমরা চেষ্টা করবো সরকারের নির্দেশনা মতো তিন মাসের মধ্যেই এটা করতে।