‘বিগত আওয়ামী সরকারের আমলে স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারেনি এনজিও প্রতিষ্ঠানগুলো’
বিগত আওয়ামী সরকারের আমলে দুর্নীতি, প্রাতিষ্ঠানিক অদক্ষতা ও জোর করে চাপিয়ে দেওয়া নীতির ফলে স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারেনি দেশি-বিদেশি বেসরকারি উন্নয়ন সহযোগী বা এনজিও প্রতিষ্ঠানগুলো। তাই আগামীতে সরকারি ব্যবস্থাপনায় দুর্নীতি বন্ধের দাবি এনজিওগুলোর।
সোমবার (৭ অক্টোবর) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির সঙ্গে বৈঠকে এনজিও নেতারা এসব কথা তুলে ধরেন।
তারা বলেন, স্বাধীনতার পর দেশে যে উন্নয়ন হয়েছে এর মধ্যে বড় অংশই অবদান রেখেছে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলো। কিন্তু তাদের কোনও স্বীকৃতি মেলেনি। এছাড়া কাজ করতে গিয়ে সরকারি কর্মকর্তা, সংস্থা এবং কখনও কখনও সরকারি নীতিমালার কারণে বাধাগ্রস্ত হতে হয়।
বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনের শ্বেতপত্র কমিটির প্রধান ড. দেবপ্রিয় বলেন, ‘এনজিও প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন যে, উন্নয়নে বড় অংশীদার হলেও তাদের প্রতিনিধিত্ব থাকে না। এর ফলে তারা বৈষম্যের শিকার হন বলে মনে করেন। বর্তমান অবস্থায় মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করে মানুষকে কষ্টের হাত থেকে বাঁচাতে হলে বেসরকারি সংস্থাগুলোর ভূমিকা জোরদার করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘এনজিও প্রতিনিধিরা আরও জানিয়েছেন, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো কার্যকরভাবে কাজ করতে গিয়ে সবচেয়ে বড় বাধায় পড়ে দুর্নীতির কারণে। সরকারি প্রাতিষ্ঠানের বাধাও রয়েছে। ডিসি, সরকারি কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং সরকারি ব্যবস্থাপনাকে দুর্নীতিমুক্ত করতে হবে।’
জ্যেষ্ঠ এই অর্থনীতিবিদ বলেন, ‘যেকোনও কাজের উৎসাহ না দিলে সেই কাজ ভালো হয় না। এনজিওরা উন্নয়নে অনেক অবদান রাখলেও তাদের কোনও স্বীকৃতি ছিল না। ফলে দেশের মানুষও তাদের অবদান সম্পর্কে জানতে পারেনি।’
দেবপ্রিয় আরও বলেন, ‘পাশাপাশি টাকা লেনদেনের ডিজিটাল পদ্ধতি, ভাতা প্রদান এবং উপবৃত্তিসহ বিভিন্ন সরকারি আর্থিক সেবা প্রদানে যে দুর্নীতি আছে সেগুলো দূর করতে হবে। এক কথায় সরকারি ব্যবস্থাপনা স্বচ্ছ, কার্যকর ও দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে।’