‘হৈচৈ’-এ আতিক ও সেলিমের চলচ্চিত্র
গত বছর ভালোবাসা দিবসকে কেন্দ্র করে পাঁচফোড়ন নামক একটি প্রকল্প শুরু করে কলকাতার জনপ্রিয় ওয়েব প্ল্যাটফর্ম হৈচৈ। সেখানে পাঁচজন নির্মাতা পাঁচটি গল্প নিয়ে পাঁচটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছিলেন। এবারও সেই প্রকল্প নিয়ে কাজ হয়েছে। পাঁচফোড়ন ২ শিরোনামের সেই প্রকল্পে বাংলাদেশ থেকে চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন খ্যাতিমান দুই নির্মাতা নুরুল আলম আতিক ও গিয়াসউদ্দিন সেলিম। আধা ঘণ্টা দৈর্ঘ্যরে চলচ্চিত্র দুটিতে কাজ করেছেন এ দেশেরই তারকা অভিনয়শিল্পীরা। এর মধ্যে আতিক বানিয়েছেন ‘ডোনার’ নামের স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রটি। এতে অভিনয় করেছেন তারিক আনাম খান, ফজলুর রহমান বাবু, অর্চিতা স্পর্শিয়া ও ইয়াশ রোহান। গত বছরের ১২-১৫ ডিসেম্বর ময়মনসিংহের বিভিন্ন লোকেশনে স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রটির শ্যুটিং হয়।
ভালোবাসা দিবসে মুক্তি পেতে যাচ্ছে ‘ডোনার’ চলচ্চিত্রটি। নুরুল আলম আতিক বলেন, ‘ভালোবাসা দিবসকেন্দ্রিক নির্মাণ হলেও ‘ডোনার’-এর গল্পটা সচরাচর প্রচারিত ভালোবাসার গল্পের মতো নয়। নিজের মতো করে একটি ভালোবাসার গল্প বলার চেষ্টা করেছি।’
অর্চিতা স্পর্শিয়া বলেন, ‘আমি এখন ভিন্নধর্মী কাজ ছাড়া করতে চাই না। এই গল্পটি অসাধারণ। আমার চরিত্রও যথেষ্ট আলাদা। এখানে তারিক আনাম খানের ছেলে ইয়াশ রোহান। তাদের বাড়ির কেয়ারটেকার ফজলুর রহমান বাবুর মেয়ের চরিত্রে আমি অভিনয় করেছি। এটা মফস্বল শহরের গল্প।’ তিনি আরও বলেন, ‘কাজটা করে ভালো লেগেছে। পরিচালক নুরুল আলম আতিকের একজন ভক্ত আমি। তার ‘মানুষের বাগান’ সিনেমায় কাজ করেছি। তারিক আনাম খানের সঙ্গে আমার প্রথম চলচ্চিত্র ‘আবার বসন্ত’ করেছি। দ্বিতীয় চলচ্চিত্র ‘ইতি তোমারই ঢাকা’য় আমি আর ইয়াশ রোহান জুটি হয়েছি। ফলে পরিচিত সবার সঙ্গে কাজের আলাদা মজা আছে। বাজেটও ভালো ছিল। তাই নির্মাতা প্রতিটি সিন ধরে ধরে করেছেন। একটি দৃশ্য ধারণের সময় তিনি তেমনি মুড তৈরি করেন সেটে। এটা অভিনেতার জন্য খুব সহায়ক। আশা করছি কাজটি সবার ভালো লাগবে।’ ইয়াশ রোহান বলেন, ‘ভালোবাসা দিবসে আরও কয়েকটি কাজ আসছে। সব কটি কাজ নিয়েই ভালো প্রত্যাশা। কিন্তু এ কাজটির অন্য আরও বেশি প্রত্যাশা। গল্পটাই একেবারে আলাদা। আমার সহশিল্পীরাও খুব মেধাবী। সব মিলিয়ে ভালো একটি কাজ হয়েছে।’
গিয়াসউদ্দিন সেলিম নির্মাণ করেছেন ‘থ্রি কিসেস’ নামের একটি ৩০ মিনিট ব্যাপ্তির চলচ্চিত্র। এতে অভিনয় করেছেন মনির খান শিমুল, স্বাগতা, মিশৌরী, ফারহানা মিঠুসহ আরও কয়েকজন চেনা মুখ। এর শ্যুটিং হয়েছে ময়মনসিংহ টিচার্স কোয়ার্টারে। সেলিম তার চলচ্চিত্রটি নিয়ে বলেন, ‘আমি এখন নাটক নির্মাণ করি না নানা কারণে। আমরা যখন নাটক বানাতাম তখনকার সেই পরিবেশটা আর নেই। কিন্তু সেই পরিবেশটা তৈরি করে দিয়েছে হৈচৈ। আমার গল্পটি বলার জন্য যতটুকু সময়, বাজেট ও অন্যান্য অনুষঙ্গ লাগে তা তারা দিয়েছে। তাই কাজটি করতে বেগ পেতে হয়নি। অন্য চিন্তা না থাকায় আমরা শিল্পের মানের দিকেই নজর দিতে পেরেছি। এটি মূলত এ সময়ের তরুণ-তরুণীর সম্পর্কের গল্প। আশা করছি দর্শক পছন্দ করবেন।’