নিকুঞ্জে সাংবাদিক হামলাকারীরা এখনও গ্রেফতার হয়নি

সিটি নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলাকালে পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় রাজধানীর বিভিন্ন কেন্দ্রে সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় শনিবার আইজিপি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী ও র‌্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেয়ার পরও পুলিশ এখনো কাউকে গ্রেফতার করেনি।

নির্বাচনে দিন পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় ডিএনসিসি’র নিকুঞ্জে জানে আলম ভোট কেন্দ্রে প্রবেশকে কেন্দ্র করে সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে স্থানীয় ছাত্রলীগ দ্বারা আক্রান্ত হন বার্তাসংস্থা পিবিএ’র বিশেষ প্রতিনিধি জিসাদ ইকবাল। হামলাকারিরা তার ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয়।

সাংবাদিক জিসাদের উপর তখন হামলায় অংশ নেয়, বগুড়ার বিএনপিখ্যাত শাহাদাত জামান মিঠুর ছেলে ছাত্রলীগের উশৃঙ্খল কর্মী রাব্বি ও খিলক্ষেত থানা আওয়ামী লীগ নেতা আবুল হোসেনের ছেলে নাজমুল ও ৯৬ নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শাকিলের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের ১০-১৫ জনের একটি দল ।

ঘটনার পর মারাত্বক আহতবস্থায় উদ্ধার করে জিসাদকে তার সহকর্মীরা সাথে সাথে নিকটস্থ কুর্মিটোলা জেনারেল হসপিটালে নিয়ে যায়।

জানা যায়, ছাত্রলীগের উশৃঙ্খল কর্মী রাব্বি’র বিরুদ্ধে ইয়াবা সেবন, চুরির, নারী উত্যক্তের অভিযোগ করে এলাকাবাসী।

নির্বাচন কমিশন ইস্যুকৃত বৈধ সাংবাদিক পাস থাকা সত্বেও “ এই কেন্দ্রে সাংবাদিক এলাও না” বলে দম্ভোক্তি করে তারা।

অনুসন্ধানে জানা যায়, নিকুঞ্জ এলাকায় বহুদিন ধরে অভিযুক্তরা ছাত্রলীগের নামে অবাধে চাঁদাবাজি, মাদকসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ড করে আধিপত্য বিস্তার করে আসছে।

উল্লেখ্য, নির্বাচন কমিশন ঘোষিত ঝুঁকিপুর্ণ এ কেন্দ্রটি সকাল থেকেই স্থানীয় আওয়মীলীগ নেতাকর্মিরা দখলে নিয়ে নেয়।

এ ছাড়া অনেক ভোটারকেই ভোট দিতে না পেরে হতাশ হয়ে ফিরতে হয়েছে।

এ দিকে ্সাংবাদিক নির্যাতনের এ ঘটনায় দেশজুড়ে নিন্দার ঝড় উঠে। সাংবাদিকদের সকল সংগঠন ইতিমধ্যে নানা কর্মসুচি ঘোষনা করেছে।

এ রিপোর্ট লেখার সময়ও আবারও  সাংবাদিক নির্যাতনের খবর পাওয়া গেছে,রাজধানীর বাড্ডার বেরাইদে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে নবনির্বাচিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর আইয়ুব আনছার মিন্টুর সমর্থকদের হামলার শিকার হয়েছেন মাছরাঙা টেলিভিশনের রিপোর্টার হাসনায়েন তানভীর ও ক্যামেরাপার্সন সাইফুল ইসলাম। এ সময় গাড়ি ভাংচুরও তারা। সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

Comments (০)
Add Comment