প্রেস ব্রিফিং —
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
মহাসচিব, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি
প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুগণ,
ভোট কেন্দ্র দখল।
ইভিএমে ক্রটি এবং ইভিএমের মাধ্যমে জালিয়াতি।
প্রার্থী ও এজেন্টদের উপর হামলা করে রক্তাক্ত করা।
এজেন্টদের কেন্দ্রে ঢুকতে না দেয়া এবং যারা কেন্দ্রের ভিতরে ছিল তাদের উপর হামলা ও নির্যাতন করে বের করে দেয়া।
কেন্দ্রের ভিতরে আঙ্গুলের ছাপ দেয়ারপর ভোটারদের ভোট দিতে না দেয়া। অর্থাৎ বুথের ভিতরে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা ভোট দিয়ে দিয়েছে। নৌকার এজেন্টরাও ভোটারদের ফিঙ্গার দেয়ার পর জোর করে নৌকার বোতাম টিপে দিয়েছে।
আওয়ামী ক্যাডাররা বুথের ভিতর অবস্থান করে ভোটাররা ধানের শীষে ভোট দিচ্ছে কি না তা নজরদারী করেছে। কেউ ধানের শীষে ভোট দিলে তার উপর হামলা করা হয়েছে।
প্রতিটি ভোট কেন্দ্রের সামনে বহিরাগতদের জড়ো করে বোমা ফাটিয়ে আতঙ্ক তৈরি করা হয়েছে।
সাংবাদিক ও তাদের গাড়ীর উপর হামলা ও রক্তাক্ত করা হয়েছে।
ইভিএমর রিমোট আওয়ামী লীগের নেতাদের হাতে পাওয়া গেছে।
ইভিএমের ক্রটির কারণে খোদ প্রধান নির্বাচন কমিশনারের ভোট দিতে পারেনি। পরে বিকল্প পদ্ধতিতে ভোট দিয়েছেন তিনি। এটি ইভিএমের ক্রটির সবচেয়ে বড় প্রমান। সর্বোপরি সাধারণ মানুষের ভোট বর্জনের মাধ্যমে এক অবিনব ভোট ডাকাতি দেখলো জাতি।
ঢাকা মহানগর উত্তর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন- ২০২০
নির্বাচনে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলা ও ভোট কারচুপির সংক্ষিপ্ত প্রতিবেদন।
ওয়ার্ড নং- ০৯ : আওয়ামী সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা পুলিশের সহযোগিতায় মিরপুর সিদ্ধান্ত হাইস্কুল, দোয়েল কিন্ডারগার্ডেন, শহীদ আ: মান্নান খান মডেল হাইস্কুল, জাহানাবাদ স: প্রা: বিদ্যালয়, গোলারটেক মিরপুর ল্যাভরেটরী স্কুল, আসমা বিদ্যানিকেতন, পাঞ্জেরি কিন্ডারগার্ডেন, বাগবাড়ী শহীদ মডেল স্কুল, বাগবাড়ী স: প্রা: বিদ্যালয়, বাগবাড়ী ল্যাবরেটরি হাইস্কুল কেন্দ্র থেকে ধানের শীষ প্রতীকের সকল এজেন্টদের মারধর করে বের করে দিয়েছে। সিদ্ধান্ত হাইস্কুল কেন্দ্রে ধানের শীষ প্রতীকের এজেন্ট মোঃ ইব্রাহিম মোল্লাকে মারধর করে মাঠের মাঝখানে কাপড়-চোপড় ছিঁড়ে দাঁড় করিয়ে রেখেছে। এছাড়া তার স্ত্রীকে একটি খালি কক্ষে আটকে রেখে ধর্ষনের হুমকি দিয়ে ১ঘন্টা পর কেন্দ্র থেকে বের করে দিয়েছে। সন্ত্রাসীদের হামলায় আহতদের মধ্যে বিএনপি সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী সাইদুল ইসলামের ভাই সাইফুল ইসলাম মিন্টু ও বিএনপি নেতা মোঃ রফিকের অবস্থা গুরুতর।
ওয়ার্ড নং- ০১ : অনন্য নগর আদর্শ বিদ্যালয় ও অনন্য নগর আইডিয়াল স্কুল ভোট কেন্দ্রে কাউকে ডুকতে দিচ্ছে না।
ওয়ার্ড নং- ১০ : জুবেলিন কেয়ার স্কুল ভোট কেন্দ্র, বাংলাদেশ ভোট কোরিয়া ভোট কেন্দ্র , এফ এম স্কুল কেন্দ্র ও দারুস সালাম ভোট কেন্দ্র থেকে এস আই আলমগীরসহ আওয়ামী সন্ত্রাসীরা ধানের শীষের সকল এজেন্ট ও ভোটারদের ঢুকতে দিচ্ছে না।
ওয়ার্ড নং- ১৮ : শাহজাদপুর বাঁশতলা কেন্দ্র ও নগর মাহমুদ স্কুল কেন্দ্র থেকে আওয়ামী লীগের সভাপতি নিজেই সকল ধানের শীষ এজেন্টদের বের করে দিয়েছে।
ওয়ার্ড নং- ২৪ : প্রভাতি ভোট কেন্দ্র নয়াটোলা, আগারগাঁও আদর্শ উচ্চ বি:, শেখ মুজিব একাডেমি, শ্যামলী আইডিয়াল ও প্রিম রোজ কিন্ডারগার্ডেন ভোট কেন্দ্র থেকে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা ধানের শীষের সকল এজেন্টদের মারধর করে বের করে দিয়েছে।
ওয়ার্ড নং- ৪০ : ইউনিভার্সিটি অব ইনফরমেশন টেকনোলজি ভোট কেন্দ্রে কাউকে ঢুকতে দিচ্ছে না। এছাড়াও ডুমনী উচ্চ বিদ্যালয় ও ডুমনী প্রাথমিকদ বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে সাধারন ভোটারদেরও ঢুকতে দিচ্ছে না।
ওয়ার্ড নং- ০৬ : এস আই মেহেদীর নেতৃত্বে রূপনগর থানার পুলিশ সকল কেন্দ্র থেকে ধানের শীষের এজেন্টদের বের করে দিয়েছে এবং এস আই মেহেদী সকল ভোট কেন্দ্রে মহড়া দিচ্ছে।
ওয়ার্ড নং- ১৬ : ধানের শীষের কাউন্সিলরের স্ত্রীসহ ৬ জনকে পুলিশ ও আওয়ামী সন্ত্রাসীরা বেদম মারধর করেছে এবং সকল এজেন্টদের বের করে দিয়েছে। এছাড়াও মুনিপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ কেন্দ্র থেকে ধানের শীষের এজেন্ট ও সমর্থকদের মারধর করে বের করে দিয়েছে।
ওয়ার্ড নং- ১৭ : কুর্মিটোলা সরকারী হাই স্কুল ও প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্র থেকে ধানের শীষের এজেন্ট ও সমর্থকদের মারধর করে বের করে দিয়েছে।
ওয়ার্ড নং- ১৯ : কেন্দ্রের বাহিরে বিএনপি নেতাকর্মীদের উপর হামলা করা হয়েছে।
ওয়ার্ড নং- ২২ : সানশাইন মডার্ণ স্কুল, নিউ মডেল ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, গ্রীণ গার্ডেন ল্যাব: স্কুল, দিদার আদর্শ কেজি স্কুল, পূর্ব রামপুরা ভোট কেন্দ্রে ধানের শীষের এজেন্টদের ঢুকতে দেয়নি।
ওয়ার্ড নং- ২৩ : বনশ্রী আইডিয়াল কলেজ থেকে ধানের শীষের এজেন্টদের ঢুকতে দেয়নি।
ওয়ার্ড নং- ২৪ : টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়, টেকনিক্যাল টিচার্স কলেজ, গ্লাস এন্ড সিরামিক ভোট কেন্দ্রসহ সকল ভোট কেন্দ্র নিজেদের দখলে নিয়েছে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা।
ওয়ার্ড নং- ২৬ : তেজগাওবালিকা বিদ্যাঃ, সরকারী বিজ্ঞান কলেজ কেন্দ্র থেকে ধানের শীষের সকল এজেন্টদের মারধর করে দিয়েছে এবং যুবদল নেতা জালালসহ বেশ কয়েকজন বিএনপি নেতাকর্মীকে মারধর করেছে।
ওয়ার্ড নং- ৩৩ : গ্রাফিক্স আর্ট হাইস্কুল এবং বড় বাড়ী স্কুল ভোট কেন্দ্রে বিএনপি’র এজেন্টদের ঢুকতে দেয়নি।
ওয়ার্ড নং- ৪৭ : ১ নং কেন্দ্র থেকে ধানের শীষের এজেন্টদের বের করে দিয়েছে।
ওয়ার্ড নং- ৫১ : উত্তরা ল্যাব: হাইস্কুল কেন্দ্রে জোরকরে নৌকায় ভোট দেয়া হচ্ছে। বিএনপি’র এজেন্টরা প্রতিবাদ করার তাদের মারধর করে বের করে দিয়েছে। আহতরা হাসপাতালে ভর্তি আছে।
ওয়ার্ড নং- ১০ : আর্সি স্কুল কেন্দ্র আওয়ামী সন্ত্রাসী মিরাজের নেতৃত্বে বিএনপি নেতা মামুনের উপর হামলা করে ধানের শীষের সকল এজেন্টদের বের করে দিয়েছে।
কবি নজরুল স্কুল কেন্দ্রে জহিরুল ইসলাম জহিরের উপর হামলা করে ধানের শীষের এজেন্টদের বের করে দিয়েছে। এছাড়াও দারুস সালাম স্কুল ভোট কেন্দ্র থেকে স্থানীয় এমপি’র লোকজন পুলিশের সহযোগিতায় ধানের শীষের এজেন্টদের বের করে দিয়েছে।
ওয়ার্ড নং- ০২ : পল্লবী মহিলা ডিগ্রি কলেজ এবং উত্তরা মডেল কেন্দ্র থেকে ধানের শীষের সকল এজেন্টদের বের করে দিয়েছে।
ওয়ার্ড নং- ০৩ : শাহ আলী গার্লস স্কুল কেন্দ্র থেকে ধানের শীষের সকল এজেন্টদের বের করে দিয়েছে।
ওয়ার্ড নং- ০৭ : ইসলামি আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়, শেখ ফজিলাতুন্নেছা মহিলা কলেজ কেন্দ্র থেকে ধানের শীষের সকল এজেন্টদের বের করে দিয়েছে।
ওয়ার্ড নং- ০৮ : দরগা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হযরত শাহ আলী উচ্চ বিদ্যায়, মনিকানন উচ্চ বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে ছাত্রলীগের নেতৃতে হামলা ও কেন্দ্র থেকে ধানের শীষের সকল এজেন্টদের বের করে দিয়েছে।
ওয়ার্ড নং- ১০ : লালকুটি কেন্দ্রে ধানের শীষের এজেন্ট লুৎফর রহমান বিজয়কে টয়লেটে আটকে রেখে মারধর করে গুরুতর আহত করে। তার অবস্থা সংকটাপন্ন। এছাড়া ওয়ার্ডের সকল কেন্দ্রে হামলা চালিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের আহত করেছে।
ওয়ার্ড নং- ১১ : এই ওয়ার্ডের সকল কেন্দ্রে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে বিএনপি’র অসংখ্য নেতাকর্মী ও এজেন্টদের আহত করেছে।
ওয়ার্ড নং- ১২ : সকল কেন্দ্র থেকে পুলিশ ও প্রিজাইডিং অফিসারের সহযোগিতায় মিরপুর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি হানিফের নেতৃত্বে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালিয়ে এজেন্টদের মারধর করে বের করে দেয়।
ওয়ার্ড নং- ১৬ : আওয়ামী লীগের হামলায় বিএনপি’র কাউন্সিলর প্রার্থী হাবিবুর রহমান রাব্বিসহ মোট ১৬ জন আহত।
ওয়ার্ড নং- ১৭ : ক্যামব্রিয়ান কলেজ কেন্দ্রে ধানের শীষের কোন এজেন্টদের ঢুকতে দেয়নি।
ওয়ার্ড নং- ০২ : পল্লবী মহিলা ডিগ্রি কলেজ ও লিটল ফ্লালাওয়ার স্কুল কেন্দ্র থেকে সকল এজেন্টদের মারধর করে বের করে দিয়েছে। এজেন্টরা পুণরায় ঢুকতে গেলে পুলিশের সামনে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা পল্লবী থানা যুবদল সভাপতি পিন্টুকে রড দিয়ে বেদম পিটানো হয় এবং দা দিয়ে মাথায় কোপ দিলে হাত দিয়ে ঠেকাতে গেলে হাত কেটে যায়।
ওয়ার্ড নং- ০৩ : শাহ আলী গালর্স স্কুল কেন্দ্র থেকে সকল এজেন্টদের মারধর করে বের করে দিয়েছে।
ওয়ার্ড নং- ০৭ : ইসলামী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় ও শেখ ফজিলাতুন নেছা মহিলা কলেজ কেন্দ্র থেকে সকল এজেন্টদের বের করে দিয়েছে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা।
ওয়ার্ড নং- ০৮ : দরগাহ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, হযরত শাহ আলী উচ্চ বিদ্যালয়, মনিকানন উচ্চ বিদ্যালয় সহ মোট ১৪ টি কেন্দ্র আওয়ামী সন্ত্রাসীরা তাদের দখলে নিয়েছে। এছাড়াও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের সহযোগিতায় সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারগণ সাধারণ ভোটারদের আঙ্গুলের ছাপ নিয়ে নৌকায় চাপ দিতে বাধ্য করছে।
ওয়ার্ড নং- ১৫ : ঢাকা কেয়ার কলেজ, শিশু মঙ্গল প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাটিকাটা কেন্দ্র ও ধামাল কোর্ট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ধানের শীষের সকল এজেন্টদের বের করে দেয়। এছাড়াও আওয়ামী সন্ত্রাসীরা তাসলিমা আজাদীর বাসায় হামলা চালিয়ে বাসার আসবাবপত্র ভাংচুর ও পরিবারের সদস্যদের ভয়ভীতি দেখায়।
ওয়ার্ড নং- ০১ : আই-ই এস স্কুল এন্ড কলেজ কেন্দ্রটি দুপুর ২ টায় শতাধিক আওয়ামী ক্যাডার দখল করে নেয়।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন- ২০২০
নির্বাচনে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলা ও ভোট কারচুপির সংক্ষিপ্ত প্রতিবেদন।
ওয়ার্ড নং- ১৪: জরিনা শিকদার হাইস্কুল ভোট কেন্দ্রের গেট থেকে ধানের শীষের এজেন্ট মোঃ রাজিব হোসেন ও আনোয়ার হোসেনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এছাড়াও প্রশাসনের সহযোগিতায় এই ওয়ার্ডের প্রত্যেকটি ভোট কেন্দ্রে ধানের শীষ প্রতীকের এজেন্ট ও সমর্থক কাউকে ঢুকতে দিচ্ছে না আওয়ামী সন্ত্রাসীরা।
ওয়ার্ড নং- ১৮: গভ: ল্যাবরেটরী হাইস্কুল কেন্দ্র থেকে বিএনপি সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী জাহাঙ্গীর হোসেন পাটোয়ারীসহ এজেন্টদের মারধর করে কেন্দ্র থেকে বের করে দিয়েছে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা। সন্ত্রাসীদের হামলায় আহত ওয়ার্ড বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন ও কাউন্সিলর প্রার্থী জাহাঙ্গীর হোসেন পাটোয়ারীর ভাই ১৮ নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সহ-সভাপতি হুমায়ুন পাটোয়ারী এবং তার মেয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। দায়িত্বরত পুলিশের কাছে সাহায্য চাইলেও পুলিশ নির্বিকার থাকে।
ওয়ার্ড নং- ০২: বনশ্রী আইডিয়াল স্কুল, গোরান প্রি-ক্যাডেট স্কুল, সানরাইজ স্কুল, গোরান প্রাইমারি স্কুল, গোরান আদর্শ স্কুল, বদিনাতুল উলুম মাদরাসা, শান্তিপুর স্কুল ও গোল্ডেন হেভেন স্কুল ভোট কেন্দ্র থেকে ধানের শীষ এজেন্টদের বের করে দিয়েছে এবং ২ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রুবেরের নেতৃত্বে এলাকায় সশস্ত্র মহড়া দিচ্ছে। এছাড়াও ধানের শীষ এজেন্ট সানি, সাজ্জাত ও নজরুলের উপর হামলা করেছে।
ওয়ার্ড নং- ৪০: গোপীবাগ মিতালী স্কুল থেকে ধানের শীষের এজেন্টদের মারধর করে রক্তাক্ত করেছে এবং কেন্দ্র থেকে বের করে দিয়েছে।
ওয়ার্ড নং- ২০: সেগুনবাগিচা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে ধানের শীষের কোন এজেন্টদেরই ভোট কেন্দ্রে ঢুকতে দেয়া হয়নি। একজনের গায়ে গরম পানি ঢেলে দেয়া হয়েছে। এজেন্ট শাহবুদ্দিনকে বেধরক পেটানো হয়েছে।
ওয়ার্ড নং- ৬৮ : এম এ সাত্তার উচ্চ বিদ্যালয়ে সকল এজেন্টসহ কাউন্সিলর প্রার্থীকে বের করে দিয়েছে। ছাত্রলীগ, যুবলীগ কর্মীরা ভোট কেন্দ্রে ঢুকে নৌকায় ভোট দিতে বাধ্য করছে।
ওয়ার্ড নং- ৪০ : মিতালী স্কুল, দয়াগঞ্জ স্কুল, সাধু জোসেফ কারিগরী স্কুল, নারিন্দা স্কুলসহ মোট ৭টি কেন্দ্রের ধানের শীষের সকল এজেন্টদের বের করে দিয়ে ছাত্রলীগ, যুবলীগের সন্ত্রাসীরা নৌকায় ভোট দিতে বাধ্য করছে।
ওয়ার্ড নং- ১৩ : পল্টন কমিনিটি সেন্টার কেন্দ্রে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী এস এম আব্বাসসহ তার লোকজনকে বেদম মারধর করে বের করে দিয়েছে। এছাড়াও পুরানা পল্টন মহিলা কেন্দ্রে বিএনপি’র কাউন্সিলর প্রার্থীকে অস্ত্রের মুখে বের করে দেয়। পুরানা পল্টন নিধুর সিটি কেন্দ্র থেকে ধানের শীষ এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়া হয়। শান্তিনগর আইডিয়াল কেন্দ্র থেকে ধানের শীষ এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়া হয়।
ওয়ার্ড নং- ৪০ : মাদারটেক আব্দুল আজিজ স্কুল এন্ড কলেজ কেন্দ্রে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বিএনপি কাউন্সিল প্রার্থী ও নেতা কর্মীদের উপর হামলা চালায়। এ সময় উপস্থিত সাংবাদিকরা ছবি তুলতে গেলে ক্যামেরা ও মোবাইল ফোন আওয়ামী লীগ কর্মীরা কেড়ে নেয় এবং সাংবাদিকদের উপর হামলা করে। এছাড়াও শাহ সাহেব লেনে সেন্ট জোসেফ টেকনিক্যাল স্কুল কেন্দ্রে কিরন নামে একজন ভোটার জানান তাদের ভোট হয়ে গেছে। ভোট দিতে গিয়ে তারা ফেরত এসেছে।
ওয়ার্ড নং- ৪৯ : নারিন্দা মহিলা সমিতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আওয়ামী সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকরা বিএনপি’র পোলিং এজেন্টদের মারধর করে বের করে দিয়েছে।
ওয়ার্ড নং- ২০ : বিএনপি সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী সৈয়দ রফিকুল ইসলাম স্বপন এবং ধানের শীষ এজেন্টদের এছাড়াও সেগুনবাগিচা হাইস্কুল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কার্জন হল, আইডিয়াল উচ্চ বিদ্যালয় এবং বেগম রহিমা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ধানের শীষ এজেন্টদের ঢুকতে দেয়নি এবং বিএনপি কর্মী খলিলুর রহমানকে মারধর করে গুরুতর আহত করেছে, সে এখন হাসপাতালে ভর্তি।
ওয়ার্ড নং- ০৬ : ১৩২ চিলড্রেন হোমস কেন্দ্রে থেকে ধানের শীস পোলিং এজেন্টদের মারধর করে কেন্দ্র থেকে বের করে দিয়েছে।
ওয়ার্ড নং- ৩৬ : সকল ভোট কেন্দ্রে পুলিং অফিসার কাউকে ভিতরে প্রবেশ করতে দিচ্ছে না এবং সাধারণ ভোটারদেরকেও কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দিচ্ছে না।
এছাড়াও ঢাকা কলেজ, টিচার্স ট্রেনিং কলেজ এবং গভ: ল্যাবরেটরি স্কুলে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছাড়া অন্য কোন দলের এজেন্টদের ঢুকদে দেয়নি।
মোহাম্মদপুর সরকারি জামলা আইনুল আনন্দ বিদ্যালয় ও কলেজ ভোট কেন্দ্রে সাধারন ভোটারদের ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না। এমনকি প্রিজাইডিং অফিসার ও সাংবাদিকদেরও ঢুকতে দিচ্ছে না। এছাড়াও গ্রাফিক্স আর্ট ইনস্টিটিউট ভোট কেন্দ্রের বাহিরে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা সশস্ত্র মহড়া দিচ্ছে।
কাফরুল মেগডোন স্কুলে ধানের শীষের কোন এজেন্টকে ঢুকতে দেয়া হয়নি। বিএনপি সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী হাবিবুর রহমান রাব্বির এজেন্টদের মারধর করে বের করে দিয়েছে।
ওয়ার্ড নং- ২২ : সালেহা হাইস্কুল কেন্দ্র, নবাবগঞ্জ সরকারি প্রা: বি: কেন্দ্রে ধানের শীষ এজেন্টদের বের করে দেয়া হয়েছে।
ওয়ার্ড নং- ২৫ : জামিলা খাতুন, জগোমহন, রহমতুল্লাহ গালর্স ও বয়েজ স্কুল কেন্দ্রে ধানের শীষ এজেন্টদের বের করে দেয়া হয়েছে।
ওয়ার্ড নং- ৩৫ : গোয়ালনগর আজিজিয়া স্কুল ও শহীদ জিয়া স্কুল কেন্দ্রে ধানের শীষ এজেন্টদের বের করে দেয়া হয়েছে।
ওয়ার্ড নং- ৩৭ : বুলবুল ললিত কলা একাডেমী কেন্দ্রে ধানের শীষ এজেন্টদের বের করে দেয়া হয়েছে।
ওয়ার্ড নং- ৪৩ : নর্থব্রুক হল কেন্দ্র, ফরাজগঞ্জ স্পোটিং ক্লাব কেন্দ্র ও ময়েজ উদ্দিন চৌ: মেমোরিয়াল হল কেন্দ্রে ধানের শীষ এজেন্টদের বের করে দেয়া হয়েছে।
ওয়ার্ড নং- ৪৪ : সূত্রাপুর কমিনিটি সেন্টার, শিশু কল্যাণ ও পথকোলি স্কুল কেন্দ্র, বেগমগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক কেন্দ্রে ধানের শীষ এজেন্টদের বের করে দেয়া হয়েছে।
ওয়ার্ড নং- ৩৯ : সেন্ট্রাল ওমেন্স কলেজ কেন্দ্রে ধানের শীষ এজেন্টদের বের করে দেয়া হয়েছে।
ওয়ার্ড নং- ৪১ : দক্ষিণ মৌসুন্ডী স্কুল কেন্দ্রে ধানের শীষ এজেন্টদের বের করে দেয়া হয়েছে।
ওয়ার্ড নং- ৪২ : সরকারী সোহরাওয়াদী কলেজ কেন্দ্র, সরকারী কবি নজরুল কলেজ কেন্দ্রে ধানের শীষ এজেন্টদের বের করে দেয়া হয়েছে।
ওয়ার্ড নং- ৪৮ : যাত্রাবাড়ী শহীদ মহিলা স্কুল কেন্দ্র, শিশু কল্যাণ চৌধুরী আহলে হাদিস কেন্দ্রে ধানের শীষ এজেন্টদের বের করে দেয়া হয়েছে।
ওয়ার্ড নং- ৫৩ : কবি নজরুল উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র, ডলফিন উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র, আশরাফ মাষ্টার উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ধানের শীষ এজেন্টদের বের করে দেয়া হয়েছে।
ওয়ার্ড নং- ১৩ : আনন্দ কমিউনিটি সেন্টার থেকে ধানের শীষ এজেন্টদের সকাল ১১ টায় বের করে দেয়া হয়েছে।
ওয়ার্ড নং- ২৬ : বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নেতা মীর সরফত আলী সফু অবহিত করেন যে, লালবাগ থানাধীন আজিমপুর ভিকারুননেছা স্কুল কেন্দ্রে ছাত্রলীগ ও যুব লীগের সন্ত্রাসীরা অতর্কিত হামলা করে চেয়ার-টেবিল ভাংচুর করে এবং ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। এ বিষয়ে কেন্দ্রে অবস্তানরত পুলিশকে অবহিত করা ও লালবগ জনের পুলিশের ডিসিকে টেলিফোনে অবগত করা হয়। তারপরও কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। এরপরও আওয়ামী সন্ত্রাসীরা লিটল এ্যাঞ্জেল স্কুল কেন্দ্রেও তারা হামলা চালিয়ে চেয়ার-টেবিল ভাংচুর করে ও নেতাকর্মীদের মারধর করে। ঐ এলাকার বিএনপি’র কাউন্সিলর প্রার্থী মীর আশরাফ আলী আজমসহ ২ জন নেতা গুরুতর আহত হয়।