ধানের শীষে ভোট দেয়ায় ভোটারকে মারধর
ধানের শীষে ভোট দেয়ায় এক ভোটারকে মারধর করেছে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। সকাল ১০টা ২৫ মিনিটের দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হল ভোট কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ঘটনা পর্যবেক্ষণ করার সময় একটি জাতীয় দৈনিকের দায়িত্বরত প্রতিবেদককে হেনস্তা করে নৌকার সমর্থকেরা। এছাড়া ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুল ও কার্জন হল কেন্দ্র থেকে ৮ জন পোলিং অফিসারকে বের করে দেয়া হয়েছে।
ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুলে সকাল সোয়া ৯টায় গিয়ে মাত্র ২ জন ভোটার দেখা গেছে। অলস সময় কাটাচ্ছেন নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা ও প্রার্থীদের এজেন্টরা উদয়ন স্কুল কেন্দ্রও ফাঁকা। ভোটার নেই। প্রিসাইডিং অফিসার মাইদুর রহমান বলেন, আমাদের দায়িত্ব কেন্দ্র সুষ্ঠু রাখা। তবে ভোটার উপস্থিতি কম বলে জানান তিনি।
সকাল ৯টা ৫০ মিনিটে জিমনেসিয়াম কেন্দ্রে দেখা যায় মাত্র ১২৮টি ভোট পড়েছে।
এ কেন্দ্রে ভোটার ২৪০০ ভোটারদের উপস্থিতি নেই ভেতরে। ৭টি বুথে অলস সময় কাটাচ্ছেন দায়িত্বরতরা।
কাজী মোতাহার হোসেন ভবন কেন্দ্রে ১৮৭৯ ভোটারের মধ্যে সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে দেখা যায় মাত্র ৬১টি। এ কেন্দ্রের একটি বুথে একটিও ভোট পড়েনি। প্রিসাইডিং অফিসার আরিফ আহমেদ বলেন, পরিবেশ সুষ্ঠু তবে ভাটার কম।
কার্জন হল কেন্দ্রেও ভোটার নেই। সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে এ কেন্দ্রে ২২৭১ ভোটের মধ্যে ৫৭টি ভোট পড়েছে। প্রিসাইডিং অফিসার সামসুল আলম এ তথ্য জানান।
তবে কেন্দ্রের বাইরে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর সমর্থনে বিপুল সংখ্যক সমর্থকের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। যাদের কেউই ভোটার নয়। এরা লাইনে দাঁড়িয়ে ভোটারের উপস্থিতি জানান দিতে চাইলেও কেউই ভোট দিতে ভিতরে প্রবেশ করছেন না। এক পর্যায়ে দায়িত্বরত নির্বাহী ম্যাজেস্ট্রেট তাদের কাছে ভোটার আইডিকার্ড দেখতে চাইলে তারা দেখাতে ব্যর্থ হন। এসময় নির্বাহী ম্যাজেস্ট্রেট তাদের লাইন ছেড়ে চলে যেতে বলেন। অন্যথায় গ্রেপ্তার করা হবে বলে জানালে তারা লাইন ছেড়ে দেয়। নির্বাহী ম্যাজেস্ট্রেট চলে গেলে এরা ফের লাইনে দাঁড়ায়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অমর একুশে হল শাখা ছাত্রদলের নেতা এ কে এন এম রাশেদ আল-আমীনের নেতৃত্বে সকালে কার্জন হল কেন্দ্রে গিয়েছিলেন ধানের শীষের প্রার্থীর চারজন পোলিং এজেন্ট। তিনি অভিযোগ করে বলে, কেন্দ্রের ভেতর গিয়ে বসতেই শাহবাগ থানা ছাত্রলীগের সাবেক নেতা ইব্রাহিম রাসেল আমাদের কক্ষের বাইরে ডেকে নেন। তিনি আমাদের বলেন, পাঁচ মিনিটের মধ্যে কার্জন হল এলাকা না ছাড়লে খবর আছে। তখন আমরা ভয়ে বেরিয়ে যাই।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক রাকিবুল ইসলাম জানান, ক্যাম্পাস এলাকার দুই ভোটকেন্দ্র থেকে ধানের শীষের ৮ জন এজেন্টকে বের করে দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুল কেন্দ্র থেকে ৪ জন আর কার্জন হল কেন্দ্র থেকে ৪ জনকে বের করে দেয়া হয়।