‘সেক্স সিম্বল’ উপাধি, দুর্বিসহ হয়ে উঠেছিল বিপাশার জীবন
বিপাশা বসুর আগে বলিউডের কোনও অভিনেত্রীকে ক্যামেরারে সামনে এতোটা সাহসী দৃশ্য করতে দেখা যায়নি। ২০০১ সালে মুক্তি পাওয়া থ্রিলার সিনেমা ‘আজনবি’ দিয়ে বক্স অফিসে দারুণ সাড়া ফেলেন বিপাশা। যদিও ছবিটিতে অভিনয়ের চেয়ে দর্শকদের দৃষ্টি গিয়ে পড়েছিল বিপাশার খোলামেলা শরীরের দিকে।
‘আজনবি’ সিনেমায় অভিনয়ের চেয়ে শরীর বেশি নজরে পড়ায় ‘সেক্স সিম্বল’ তকমা পান বিপাশা বসু। আর এই তকমা নিয়ে অনেক আক্ষেপ ছিল অভিনেত্রীর। একবার সিমি গেরিওয়ালের চ্যাট শোয়ে এসে সেকথা জানান বিপাশা।
তিনি বলেন, ”ভারতের মতো দেশে যদি তোমাকে ‘সেক্স সিম্বল’ তকমা দেওয়া হয়, তাহলে এর চেয়ে খারাপ আর কিছু হতে পারে না।”
বিপাশা বলেন, ‘প্রতিটি সিনেমায় ভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছি, কিন্তু লোকে দেখতে পেলো আমার যৌন আবেদন। আমি বুঝি না কেন! তবে এখন এই বিষয়টা মেনে নিয়েছি।’
অভিনেত্রী বিপাশা বলেন, ‘এখন এটাকে আমি প্রশংসা হিসেবেই ধরি। সবসময়ে বলি ১৮০ বছর বয়স হলে কিংবা যতদিন বেঁচে থাকব ততদিন আমাকে আবেদনময়ী হয়ে থাকতে হবে। বিষয়টি বলিউডে যেভাবে দেখা হয়, হলিউডে কিন্তু তা নয়!’
‘সেক্স সিম্বল’ তকমার জন্য ভারতের জয়পুরেও একবার হয়রানির শিকার হতে হয় বিপাশা বসুকে। এক রেস্তরাঁয় সেখানকার এক কর্মী হঠাৎ তার শরীর স্পর্শ করেন। বিপাশা রেগে ওই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। এসব নিয়ে দুর্বিসহ হয়ে উঠেছিল বিপাশার জীবন। সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস