পশ্চিমাদের ভ্যাকসিন নিতে চান না জিনপিং, দাবি যুক্তরাষ্ট্রের
প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের নতুন ধরন প্রতিরোধে পশ্চিমা দেশগুলোর ভ্যাকসিন বেশ কার্যকর। অপরদিকে নতুন ধরনের সঙ্গে লড়াই করতে চীনের ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা কম। কিন্তু তা সত্ত্বেও পশ্চিমা দেশগুলোর কাছ থেকে কোনো ভ্যাকসিন নিতে চান না চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।
শনিবার এক অনুষ্ঠানে এমন তথ্য জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার পরিচালক এভ্রিল হায়েন্স। এছাড়া চীনে সম্প্রতি করোনা লকডাউন নিয়ে হওয়া আন্দোলন নিয়েও কথা বলেছেন মার্কিন এ কর্মকর্তা। তিনি জানিয়েছেন, সবকিছু এখন শান্ত এবং চীনে সরকার পতনের মতো কোনো পরিস্থিতি নেই।
বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ অর্থনীতির দেশ চীনে গত কয়েকদিনে আবারও রেকর্ড সংখ্যক মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। কিন্তু এ সংক্রমণ ঠেকাতে যে ধরনের ভ্যাকসিন প্রয়োজন সেটি চীনের হাতে নেই। তবুও নিজের মুখ বাঁচাতে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং পশ্চিমাদের কাছ থেকে ভ্যাকসিন নিতে চান না উল্লেখ করে এভ্রিল হায়েন্স বলেছেন, ‘শি পশ্চিমাদের কাছ থেকে ভালো ভ্যাকসিন নিতে অনিচ্ছুক। এর বদলে তিনি চীনের ভ্যাকসিনের ওপর নির্ভর করছেন, যেটি ওমিক্রন প্রতিরোধে পশ্চিমাদের ভ্যাকসিনের মতো কার্যকর না।’
বেশ কয়েকজন বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন, যেহেতু চীনের হাতে কার্যকরী ভ্যাকসিন নেই। ফলে তারা যদি অন্যের সহায়তা না নেয় তাহলে দেশটিতে আবারও মহামারি ছড়িয়ে পড়তে পারে।
চীনের সাধারণ মানুষ দীর্ঘ সময় ধরে লকডাউনের মধ্যে থাকতে থাকতে অতিষ্ঠ হয়ে যান, এছাড়া এ লকডাউন অর্থনীতির ওপরও বেশ বড় প্রভাব ফেলছিল। মানুষের ক্ষোভ ও অর্থনৈতিক বিষয়টি বিবেচনা করে এখন লকডাউন শিথিল করে দেওয়া হচ্ছে দেশটিতে।
এছাড়া চীনের মিত্র উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র ও সম্ভাব্য পরমাণু পরীক্ষা নিয়ে কথা বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার পরিচালক এভ্রিল হায়েন্স। তিনি দাবি করেছেন, উত্তর কোরিয়াকে আটকানোর কোনো ব্যবস্থা নেওয়ার ইচ্ছা চীনের নেই।
এ ব্যাপারে এ মার্কিন কর্মকর্তা বলেছেন, ‘উত্তর কোরিয়াসহ যেসব দেশ যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সমস্যা সৃষ্টি করছে তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়ার ইচ্ছা চীনের নেই। যদিও উ. কোরিয়াকে আটকানোর ক্ষমতা তাদের আছে।’
এদিকে গত সপ্তাহে উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উন ঘোষণা দেন বিশ্বের সবচেয়ে বড় পরমাণু শক্তিধর দেশ হতে চান তারা।
সূত্র: রয়টার্স