আইয়ুব বাচ্চুর মৃত্যুদিনে তার সম্পর্কে থাকল ছয় তথ্য!
আইয়ুব বাচ্চুর চলে যাবার ৪ বছর হয়ে গেল। এদেশের অগণিত ভক্ত ও অনুরাগীদের যিনি নিজের গানে মোহাবিষ্ট করে রেখেছেন। তিনি না থাকলেও বেজে ওঠছে ‘এই রুপালি গিটার ফেলে’,‘চল বদলে যাই’। আইয়ুব বাচ্চুর মৃত্যুদিনে তার সম্পর্কে থাকল ছয় তথ্য।
১. আইয়ুব বাচ্চুর প্রথম গিটার ছিল বাবার দেয়া। ক্লাস সিক্সে পড়ার সময়ে পরীক্ষায় ভালো ফল করার উপহারস্বরূপ এই গিটারটি পান।
২. বিটিভিতে একটি অনুষ্ঠানে আজম খানের শোতে নয়ন মুন্সীকে বাজানো দেখে গিটারিস্ট হওয়ার স্বপ্ন দেখেন আইয়ুব বাচ্চু। ইচ্ছা, মুন্সীর মতো গিটার বাজাতে হবে।
৩. গায়ক আইয়ুব বাচ্চুকেই সবাই চিনি। কিন্তু তিনি ছিলেন সুরকার ও গীতিকারও। তপন চৌধুরীর গাওয়া ‘পলাশ ফুটেছে শিমুল ফুটেছে’সহ বেশ কিছু গানে সুর দেন। পাশাপাশি ‘সেই তুমি’, ‘ফেরারি মনটা আমার’সহ বেশ কিছু গান লিখেছেন আইয়ুব বাচ্চু।
৪. তরুণ শিল্পীদের উৎসাহ দিতে চট্টগ্রামে তৈরি করেছিলেন ‘এবি লাউঞ্জ’। প্রতি মাসে দুবার চট্টগ্রামের দুটি নতুন ব্যান্ড এখানে পারফর্মের সুযোগ পায়।
৫. ১৯৭৭ সালে কুমার বিশ্বজিৎ, গুলু, মঙ্গুসহ আরও কয়েকজন মিলে গানবাজনা শুরু করেন। ব্যান্ডের নাম ছিল ‘রিদম ৭৭’। এর আগে ‘স্পাইডার’ দলে গিটার বাজাতেন। পরে তাদের ব্যান্ডের লাইনআপ পরিবর্তন হয়ে নতুন নাম হয় ‘ফিলিংস’। ১৯৮০ সালে যোগ দেন ‘সোলস’-এ। আর ১৯৯১ সালে শুরু করেন এলআরবি।
৬. প্রথমে আইয়ুব বাচ্চুদের ব্যান্ডের নাম ছিল ইয়োলো রিভার ব্যান্ড (ওয়াইআরবি)। এক মজার ঘটনায় নাম পাল্টে এলআরবি হয়ে যায়। একটি দূতাবাসের ক্লাব কনসার্টে গান করার কথা ছিল তাদের। কনসার্ট করতে গিয়ে দেখেন, তাদের ব্যান্ডের নাম লেখা ‘লিটল রিভার ব্যান্ড’ (এলআরবি) কিন্তু তাদের ব্যান্ডের নাম দেয়া ছিল ইয়োলো রিভার ব্যান্ড (ওয়াইআরবি)। আয়োজকদের একজন জানান, এলআরবি নামটাই নাকি প্রচারের সময় ভালো লাগায় তারা এটা ব্যবহার করেছেন। এরপর নামটি থেকে যায়।