বেগম জিয়া গণতন্ত্র মুক্তির আরেক নাম।

প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান শহীদ হওয়ার পর একটি সময়কাল ধরে  অবরুদ্ধ ছিল বাংলাদেশের গণতন্ত্র। একজন সৈরাচারের শাসনে চলছিল বাংলাদেশ। দীর্ঘ ৯ বছর দুঃশাসনের ষ্টিমরোলার চলল জনগনের উপর দিয়ে। সেটা হল স্বৈরাচারী এরশাদ এর শাসন আমল। ১৯৮২ সালের ২৪ ্ই মার্চ  এরশাদ ক্ষমতা দখল করেন। তখনকার যে রাজনৈতিক রাষ্ট্রীয় সংকট দেখা দিয়োিছল তা থেকে উত্তরনের উপায় খুবই কঠিন ছিল কারন সামরিক শাসক এরশাদ কোন মতেই চাননি ক্ষমতা ছাড়তে। আর এরশাদ বুঝতে পেরেছিলেন যে জিয়াউর রহমান অনুপস্থিতিতে দেশ এখন নেতৃত্ব শুন্য। এর মাঝে বিএনপির কিছু ভাল নেতাও যোগদিয়েছিল এরশাদের সাথে। তাতে ষড়যন্ত্রের কবলে পরা বিএনপি অনেকটা নিষ্ক্রিয় ও দুর্বল হয়ে পরেছিল। 

দলীয় কিছু শীর্ষ নেতার অনুরোধে এবং বিশেষ করে কর্মীদের অবস্থা অনুধাবন করে সদ্য রাজনীতিতে যোগ দেয়া বেগম খালেদা জিয়া ৮৩ সালের মার্চ মাসেই দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। কিন্তুু স্বৈরাচারী এরশাদের হাত থেকে গণতন্ত্র মুক্তির ডাক দেন ১৯৮২ সালের ৩০শে মে। চেতনা ফিরে আসে বিএনপি এবং অঙ্গ সংসঠনগুলোতে। গনতন্ত্র উদ্ধারের শপথ বাক্য পাঠ করার সাথে সাথেই  এক অসীম প্রেরনায় উজ্জীবিত হয়েছিল ছাত্র দল । সারা দেশে শুরু হয়েছিল স্বৈরাচার বিরোধী দুর্বার আন্দোলন । নেতৃত্বে বেগম খালেদা জিয়া। টনক নড়তে থাকল এরশাদ সরকারের । আর্বিভাব হল আরেক শহীদ জিয়া প্রতিচ্ছবি ।

স্বৈরাচারী এরশাদ. বেগম জিয়ার অগ্নি স্ফুলিঙ্গ আন্দোলনের রুপরেখা দেখে ভীত হয়ে পড়ে। সে সময় আওয়ামীলীগ যুগপৎ আন্দোলনে অংশ গ্রহন করলেও তারা রাজপথে তেমন একটা সফল হতে পারেনি । এক সময় শেখ হাসিনা বলেছিলেন এরশাদের অধীনে যারা নির্বাচনে যাবে তারা জাতীয় বেইমান। কিন্তুু শেখ হাসিনা তাঁর সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে এরশাদের অধীনে নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষনা দেন। পরক্ষণে বেগম খালেদা জিয়াকে অসম্মান জনক ভাবে গ্রেফতার করা হয়। এরশাদের সাথে শেখ হাসিনা আতাত করলেও বেগম জিয়া আপোস করেননি তিনি বলেছিলেন ক্ষমতা নয় চাই সংগ্রাম। বেগম জিয়া আখ্যায়িত হন একজন আপোসহীন নেত্রী হিসেবে। যুগান্তকারী আন্দোলনে অনেক ছাত্র নেতা নিহত হওয়ার মধ্য দিয়ে বেগম জিয়ার নেতৃত্বে আন্দোলনের সফলতা পায়। আন্দোলনের মুখে পতন ঘটে একজন স্বৈরাচারের অবৈধ শাসন আমলের। এরশাদ পদত্যাগ করেন ১৯৯০ সালের ৬ই ডিসেম্বর। মুক্তিপায় বাংলাদেশের গণতন্ত্র।

এরশাদের যেমন প্রধান ভীতি ছিলেন আপোষহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। ঠিক তেমনি আবারও আরেক স্বৈরাচার সরকারের একমাত্র ভীতি বেগম খালেদা জিয়া। আওয়ামীলীগ জানে যে, বাংলাদেশের গণতন্ত্র পুনঃউদ্ধারে একমাত্র বেগম জিয়াই হচ্ছেন  বলিষ্ঠ নেতৃত্ব॥

 তাঁর আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা শেখ হাসিনা সরকারে দৃষ্টিপাতে। তাঁরা অপকটে ভয়পায় বেগম জিয়াকে। যার জন্য আজ তাঁকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে বন্দী করে রেখেছে জেলখানার অন্ধকার কুঠিরে।

শুধু বেগম জিয়ার জনপ্রিয়তাই নয় তারা ইর্ষান্বিত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যা জনাব তারেক রহমানের জনপ্রিয়তায়ও। কারন তারেক রহমান গড়ে উঠেছেন বাবা-মার যোগ্য উত্তরসুরী হিসেবে। তিনিও একজন আপোষহীন নায়ক।

জাতির এই ক্রান্তিকালে এখন সবচেয়ে বড় প্রয়োজন বেগম জিয়ার মুক্তি। বেগম জিয়ার মুক্তির উপর নির্ভর করছে একটি রাষ্ট্রের মানচিত্রের নিরাপত্তা। আইনি প্রক্রিয়ার জামিন পাওয়া তাঁর সাংবিধানিক অধিকাার কিন্তুু তার পরেও তাঁকে মুক্তি দিবে না সরকার । কারন তারা নিশ্চিত যে খালেদা জিয়ার মুক্তি মানেই হল সরকারের পতন। তাই দেশমাতাকে মুক্ত করতে দরকার ৯০ এর আন্দোলনের মত রাজপথের আন্দোলন। জেগে উঠতে হবে সেই উত্তাল ছাত্রদলকে। জেগে উঠতে হবে সমস্থ বিএনপিকে। দেশের আপামর জনতাকে দেখাতে হবে আরেকটি ৯০এর নজীরবিহীন আন্দোলন।

  যেখানে আদালত আছে আইন নেই। সেখানে দরকার উত্তাল আন্দোলন। মুক্তি দরকার গণতন্ত্রের। গনতন্ত্র মানেই বেগম জিয়া ॥ গণতন্ত্রের আরেক নাম আপোষহীন নেত্রী বেগম জিয়া।

লেখক 

আরিফ মাহফুজ

Comments (০)
Add Comment