জাবি পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন প্রধানমন্ত্রী : ওবায়দুল কাদের

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ভিসি অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের অপসারণ দাবিতে চলা আন্দোলন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পর্যবেক্ষণ করছেন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

মঙ্গলবার দুপুরে বনানীর সেতু ভবনে কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় মন্ত্রী জানান, পদ্মা সেতুর কাজের অগগ্রতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী সন্তুষ্ট। ২০২১ সালে এ সেতুটি যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হবে। এছাড়া ভোলার সঙ্গে বরিশালের সড়ক যোগাযোগ স্থাপনে দেশের বৃহত্তম সেতু নির্মাণ কাজ শিগগিরই শুরু হবে বলেও জানান তিনি।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলন প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, এটা প্রধানমন্ত্রীর নজরে আছে, এর সর্বশেষ খবর প্রধানমন্ত্রী জানেন। কোনো ব্যবস্থা নিতে হলে তিনি খোঁজখবর নিয়ে নেবেন। সরকারপ্রধান এ ব্যাপারে খুব সজাগ। তিনি বিষয়টা পর্যবেক্ষণ করছেন, অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নেবেন। চলমান শুদ্ধি অভিযান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ঘরের লোকজনের বিরুদ্ধে শুদ্ধি অভিযান চালিয়ে শেখ হাসিনা বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।

প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও পদ্মা সেতুর কাজের অগ্রগতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী খুশি জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, পদ্মা সেতুতে অর্থায়ন না করে বিশ্বব্যাংক যে ভুল করেছে, তারা এখন তা বুঝতে পারছে। ফলে আমাদের নতুন নতুন প্রকল্পে টাকা দেয়ার জন্য বিশ্বব্যাংক অস্থির হয়ে পড়েছে। তিনি বলেন, বিশ্বব্যাংক নতুন করে ঢাকা শহরে বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট নামে একটি প্রকল্প করার জন্য প্রস্তাব দিয়েছে।

এ প্রকল্পে তারা অর্থায়ন করবে। বর্তমানে ঢাকায় মেট্রোরেল ও বিআরটি প্রকল্পের কাজ চলছে। এ অবস্থায় নতুন করে আরেকটি বিআরটি প্রকল্প হাতে নিলে ঢাকা শহর প্রায় অচল হয়ে যাবে। আগে আমরা চলমান প্রকল্পগুলোর কাজ শেষ করে মানুষকে কিছুটা স্বস্তি দিতে চাই। এরপর নতুন প্রকল্প হাতে নেয়া হবে।

তিনি বলেন, পদ্মা সেতু প্রকল্প থেকে বিশ্বব্যাংক সরে যাওয়ার পর আমরা এটিকে চ্যালেঞ্জ হিসেবেই নিয়েছিলাম। আমরা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সক্ষমতার পরিচয় দিয়েছি। ওই সময় অনেকেই বলেছিলেন, এটি সম্ভব নয়। আমরা সেই অসম্ভবকেই সম্ভব করেছি।

দ্বীপ জেলা ভোলার সঙ্গে বরিশালকে যুক্ত করতে বাংলাদেশের দীর্ঘতম সড়ক সেতু নির্মাণের কাজ শিগগিরই শুরু হবে জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, এই সেতুর সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে, নির্মাণ কাজ শিগগিরই শুরু হবে। এই সেতুর দৈর্ঘ্য হবে আট কিলোমিটার। এটাই বাংলাদেশের সবচেয়ে দীর্ঘ সেতু।

এই কাজের অগ্রগতি তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘অলরেডি ফিজিবিলিটি টেস্ট’ শেষ হয়েছে, এখন ডিপিপি প্রণয়নের কাজ চলছে। ফান্ডিংয়ের ব্যাপারে কথাবার্তা হচ্ছে। চায়না এই সেতুতে অর্থায়ন করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

বড় প্রকল্পগুলোতে বড় দুর্নীতি হচ্ছে বলে বিএনপির অভিযোগের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, উন্নয়ন অগ্রগতিতে সারা বিশ্বে বিস্ময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একটা দৃশ্যমান কাজ বিএনপি দেখাতে পারবে না। তাদের (বিএনপি) আছে কথামালার চাতুরী। তাদের সরকার এই দেশে দৃশ্যমান কোনো উন্নয়ন করতে পারেনি। এখন শেখ হাসিনা সরকার করছে, এটা তাদের গায়ে জ্বালা, অন্তর্জ্বালা তারা সইতে পারছে না।

Comments (০)
Add Comment