নির্মম-নিষ্ঠুরতা ও রসিকতা হচ্ছে আওয়ামী লীগের রাজনীতির মূল পুঁজি: আলাল

আওয়ামী লীগের রাজনীতির পুঁজি হলো নির্মমতা ও নিষ্ঠুরতা। এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক প্রতিবাদ সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, ২০০৭ সালে সামরিক বাহিনী কর্তৃক সমর্থিত সরকার আওয়ামী লীগ সভানেত্রীকে বিদেশ পাঠিয়ে দিয়েছিল। বেগম খালেদা জিয়াকেও দেশের বাইরে পাঠিয়ে দেওয়া চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু সেদিন খালেদা জিয়া দৃঢ়কণ্ঠে বলেছিলেন- বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষ আমার সন্তান। আমি এই মাটি ছেড়ে কোথাও যাব না। এমনকি শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরত দেওয়ার সুযোগ দিতে তিনি সেমময় বিবৃতি দিয়েছিলেন। তাকে আটকে রাখা অনৈতিক, অগণতান্ত্রিক। সুতরাং আজকে খালেদা জিয়ার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ তো দূরের কথা শেখ হাসিনা তাকে জেলে রেখে তার সাধারণ সম্পাদক দিয়ে খেলা হবে খেলা হবে বলছেন। নির্মম, নিষ্ঠুর ও রসিকতা হচ্ছে আওয়ামী লীগের রাজনীতির মূল পুঁজি। সেটা আমরা অতীতেও দেখেছি শেখ মুজিবুর রহমানের আমলে।

তিনি বলেন, সাবেক চিফ হুইপ জয়নুল আবদীন ফারুককে যারা অমানবিকভাবে টানাহেঁচড়া করেছেন তারা আসলে পুলিশের লোক নয়, তারা পুলিশ লীগের লোক। এই লীগ করতে করতে আজকে দেশটাকে খেলাধুলার ক্ষেত্রে পরিণত করেছে। আমি বলব খেলার ইচ্ছা থাকলেই রাষ্ট্রকে নিয়ে খেলবেন না। সাধারণ মানুষের জীবনকে নিয়ে বারবার খেলবেন না।

আলাল বলেন, দেশের মানুষ আজ অতীষ্ঠ। বাজারে প্রতিটি নিত্যপণ্যের দাম আকাশছোঁয়া হয়ে গেছে। তারা শরীরের দরকারি জিনিস প্রোটিন ঠিকমতো সংগ্রহ করে খেতে পারে না। তারা অত্যাচারে জর্জরিত। তারমধ্যেও বড় বড় কথা আর নিজেদের যা খুশি তাই করা। দেশের সব প্রতিষ্ঠানে দলীয়করণ করেছে।

আলাল আরও বলেন, আমরা চেষ্টা করছি আবারও সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করে আগামীতে আন্দোলনের নতুন কর্মসূচি আসবে। আপনারা সবাই সেই আন্দোলনে পূর্বের ন্যায় শামিল হবেন। কারণ আওয়ামী লীগকে ঠেকাতে না পারলে দেশের সবকিছু ধ্বংস হয়ে যাবে। আমরা ভারতের সঙ্গে বৈরী সম্পর্ক চাই না। তবে ট্রানজিট ও করিডোরের নামের তাদের গোলামিও করব না। এ সময় তিনি সংশ্লিষ্টদের অবিলম্বে খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে সুচিকিৎসা দেওয়ার আহ্বান জানান।

জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে ২০১১ সালের ৬ জুলাই সাবেক বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুকের ওপর পুলিশি হামলার ১৪ বছরেও দোষীদের বিচার না হওয়ায় দোষীদের বিচারের দাবিতে এই প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে জিয়াউর রহমান সমাজকল্যাণ ফোরাম (জিসফ)।

Comments (০)
Add Comment