জয়বাংলা স্লোগান দিয়ে রংপুরে মৎস্য কর্মকর্তার ওপর যুবলীগ নেতার হামলা

রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয়ে যুবলীগের নামধারী একদল সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে। ওই ঘটনার সময় সন্ত্রাসীরা ওই কার্যালয় ভাঙচুর করে।

এ সময় মৎস্য কর্মকর্তা খালেদ মোশাররফ ও তার অফিস সহকারী অফিস কক্ষে গুরুতর আহত হন। তাদের এ আহত অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।

প্রত্যক্ষদর্শী ও উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বেলা ১১টার দিকে মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি ও বড় হযরতপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি সুধীরচন্দ্র জীবনের নেতৃত্বে একদল দুষ্কৃতকারী ‘জয় বাংলা স্লোগান’ দিয়ে মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয়ে প্রবেশ করেন। এ সময় তারা উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা খালেদ মোশাররফের কাছে জাতীয় কৃষি প্রযুক্তি (এনএটিপি) প্রকল্পের বেড় জাল বিতরণ করা নিয়ে বাকবিতণ্ডায় লিপ্ত হন।

তাকে কেন ওই সুবিধা দেয়া হয়নি এর কৈফিয়ত তলব করেন সুধীরচন্দ্র। একপর্যায়ে তারা লাঠি দিয়ে চেয়ার-টেবিল ও আসবাবপত্র ভাঙচুর ও মৎস্য কর্মকর্তা খালেদ মোশাররফের ওপর হামলা চালায়। এতে তার মাথা ফেটে যায়। তাকে রক্ষা করতে গেলে অফিস সহকারী দেলদার হোসেনও আহত হন।

তাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে আসলে দুষ্কৃতকারীরা চলে যায়। মৎস্য কর্মকর্তা ও অফিস সহকারীকে উদ্ধার করে মিঠাপুকুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হওয়ায় মৎস্য কর্মকর্তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

ওই যুবলীগ নেতার সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতার ছত্রছায়ায় তিনি এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের জন্য এ ঘটনা ঘটিয়েছে। তিনি ‘রাশেক রহমান একান্ত কমিটি’র নামে একটি সংগঠনের মিঠাপুকুরের যুগ্ম-আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মামুন ভুঁইয়া বলেন, মৎস্যজীবী সমিতির নেতা সুধীর বাবুর নেতৃত্বে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে। মৎস্য কর্মকর্তা একটু সুস্থ হলে তিনি বাদী হয়ে মামলা দায়ের করবেন।

মিঠাপুকুর থানার ওসি জাফর আলী বিশ্বাস বলেন, এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে। হামলাকারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।

Comments (০)
Add Comment