কুড়িগ্রামে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় বিএনপির চার নেতা বহিষ্কার
দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় কুড়িগ্রামে বিএনপির চার নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বুধবার (১৫ মে) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত পৃথক পৃথক চিঠিতে এ কথা জানানো হয়েছে।
বহিষ্কৃতরা হলেন- ভূরুঙ্গামারী উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব ফরিদুল ইসলাম শাহিন শিকদার, নাগেশ্বরী উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক মেহেদি হাসান, নাগেশ্বরী উপজেলা মহিলা দলের সভাপতি ও সহ মহিলা বিষয়ক সম্পাদক আমেনা খাতুন অনন্যা, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক ও সহ-মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ফেরদৌসি বেগম।
রিজভীর চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে আসন্ন সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিএনপির প্রাথমিক সদস্য পদসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে অভিযুক্তদের বহিষ্কার করা হলো। এর আগে গত ১৩ মে তাদের কারণ দর্শানোর চিঠি দিয়ে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছিল।
চিঠির অনুলিপি রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেক ও সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলমসহ কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপির সভাপতি তাসভিরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রহমানের কাছে পাঠানো হয়েছে।
বহিষ্কৃত বিএনপি নেতাদের মধ্যে আলহাজ্ব ফরিদুল ইসলাম শাহিন শিকদার চলমান উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ৬ষ্ঠ পর্যায়ে অনুষ্ঠিতব্য ভূরুঙ্গামারী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। মেহেদি হাসান নাগেশ্বরী উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ) পদে টিউবওয়েল প্রতীকে, আমেনা খাতুন অনন্যা ভাইস চেয়ারম্যান (মহিলা) পদে কলস প্রতীকে ও ফেরদৌসি বেগম ভাইস চেয়াম্যান (মহিলা) পদে ফুটবল প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন।
তবে ভূরুঙ্গামারী উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব ফরিদুল হক শাহিন শিকদার বলেছেন, বহিষ্কারের কোনো চিঠি হাতে পাইনি। শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
নাগেশ্বরী উপজেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক ও সহ-মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ফেরদৌসি বেগমও জানিয়েছেন, বহিষ্কার সংক্রান্ত চিঠি হাতে পাইনি। কারণ দর্শানোর চিঠি পেয়েছিলাম, সেটার জবাব দিয়েছি। দল তার সিদ্ধান্ত নিতে পারে।